বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মামলা তদন্তে নামছে ট্যুরিস্ট পুলিশ

পর্যটন এলাকা

মাহবুব মমতাজী

পর্যটন এলাকার অপরাধ সংক্রান্ত মামলা এখন থেকে তদন্ত করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর পুলিশ সদর দফতর থেকে একটি বিধিমালাও দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য আজ বুধবার থেকে কক্সবাজার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এর আগে ২০১৩ সালে হোটেল-মোটেল এবং পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের সরকারি আদেশ জারি হয়। ২০১৫ সালে তারা কাজ শুরু করে। এতদিন তদন্ত কাজে যুক্ত হওয়ার কোনো ক্ষমতা ছিল না সংস্থাটির। গত ৩ জুন তদন্তের ক্ষমতা দিয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৩ নভেম্বর ইস্যু করা ট্যুরিস্ট পুলিশ বিধিমালা-২০২০ এ ২২ ধরনের অপরাধ তদন্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে আরও বলা হয়- ট্যুরিস্ট পুলিশ ইউনিটের অধিক্ষেত্রে সিআইডি ও পিবিআইয়ের তফসিলভুক্ত অপরাধ সংঘটিত হলে বিধি মোতাবেক সিআইডি এবং পিবিআই তদন্ত করবে। এই বিধিমালার পরই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে তদন্তে যুক্ত হতে যাওয়া ৪৬৮ কর্মকর্তাকে। জানতে চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) ইব্রাহিম খলিল জানান, পর্যটন এলাকায় পর্যটকের দেহ ও সম্পত্তি বিষয়ে কোনো ঘটনা ঘটলে ট্যুরিস্ট পুলিশ এখন থেকে তার তদন্ত করবে। জানা গেছে, সম্প্রতি কুয়াকাটার হোটেলে এক নারী খুন হন। কক্সবাজারের হোটেলে চাঞ্চল্যকর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কক্সবাজারের ঘটনাটির তদন্ত করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে কুয়াকাটার ঘটনায় করা মামলাটি এখনো অধিগ্রহণ করা হয়নি। ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি (প্রশিক্ষণ) আলমগীর হোসেন জানান, তদন্তের জন্য তারা দক্ষ জনবল তৈরির কাজ শুরু করেছেন। আজ বুধবার কক্সবাজার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। ৩২টি জেলায় দুভাবে ঢাকায় এবং মাঠপর্যায়ে তাদের প্রশিক্ষণ চলবে। এএসআই থেকে পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা তদন্ত কাজে মাঠে থাকবেন। সিডিএমএসে এন্ট্রি হওয়ার জন্য পাসওয়ার্ড লাগে। এর মধ্যে পুলিশ সদর দফতর থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, মামলা তদন্তের জন্য ৭৫ জন পরিদর্শক, ১৫৭ জন এসআই এবং ২৩৬ জন এএসআইকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে দেশের পর্যটন এলাকায় যেসব অপরাধ ও মামলা হয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে জনবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সারা দেশে পর্যটন স্পটের সংখ্যা ১ হাজার ৬৭৫টি। আকর্ষণীয় স্পট প্রায় অর্ধশত। এসব স্পটে পর্যটকের নিরাপত্তায় কাজ করছেন প্রায় ১ হাজার ৩০০ ট্যুরিস্ট পুলিশ। ৭২টি অফিসের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাজ চলছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ বিধিমালায় বলা হয়েছে, জোনাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মামলার কেস ডায়েরি দাখিল করতে হবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দফতরে ক্রাইম রিজার্ভ অফিস নামে একটি সেল থাকবে। এই সেল সব তদন্ত কর্মকর্তার দক্ষতা ও কর্মতৎপরতার বিবরণ সংরক্ষণ করবে।

সর্বশেষ খবর