শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কপাল পুড়ছে মাদকাসক্ত পুলিশের!

ডোপ টেস্টে ধরা রাজশাহী জেলা পুলিশের চার সদস্য, যাচ্ছে চাকরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

কপাল পুড়ছে মাদকাসক্ত পুলিশের!

ডোপ টেস্টে রাজশাহী জেলা পুলিশের চার কনস্টেবল মাদকাসক্ত শনাক্ত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে কিট না পাওয়ায় রাজশাহী মহানগর পুলিশে (আরএমপি) এখনো সন্দেহভাজনদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়নি। গত রবিবার জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের আরও আট পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। কয়েক দিনের মধ্যে সেসব ফলাফলও ঢাকা থেকে রাজশাহীতে এসে পৌঁছাবে। পুলিশের সূত্রগুলো বলছেন, রাজশাহী সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় পুলিশের অনেকের কাছে মাদক সহজলভ্য। তাই কেউ কেউ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এ সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। আবার অনেকেই মাদকের কারবারে জড়িয়েছেন। ইতিপূর্বে মাদক পাচারের সময় একাধিক পুলিশ সদস্য রাজশাহীতে গ্রেফতারও হন। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ মতে, গত অক্টোবরে রাজশাহী জেলা পুলিশে সন্দেহভাজন মাদকাসক্তদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়। ইতিমধ্যে সাত সন্দেহভাজনের ডোপ টেস্টে চারজনকে শনাক্ত করা হয়। এ চারজনই বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত কনস্টেবল। ডোপ টেস্টে মাদক গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিতের পর সাময়িক বরখাস্তসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত রবিবার রাজশাহী জেলা পুলিশের আরও আটজনের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল আছেন। কয়েক দিনের মধ্যে এসব টেস্টের ফলাফল জেলা পুলিশের হাতে আসবে। এ ছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে আরও কিছু সন্দেহভাজন পুলিশের ডোপ টেস্ট হবে। রাজশাহী পুলিশ হাসপাতালের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে ডোপ টেস্ট কমিটি করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রথমে ফলাফল ঢাকায় পুুলিশ সদর দফতরে পাঠায়। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশকে ফলাফল জানানো হচ্ছে।

এসপি এ বি এম মাসুদ হোসেন জানান, পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রাপ্ত এ-সংক্রান্ত নির্দেশনাটি রাজশাহীর প্রতিটি থানা, ফাঁড়িসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটপ্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে। মাদকাসক্ত হিসেবে যারা সন্দেহভাজন তাদের নাম গোপনে তার কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো থানার ওসি বা ইউনিটপ্রধান অধীন কোনো সন্দেহভাজনের বিষয়টি গোপন করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে রাজশাহী জেলা পুলিশে ডোপ টেস্ট শুরু হলেও আরএমপিতে এখনো এ কার্যক্রম শুরু হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, আরএমপিতে ডোপ টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় কিট আসেনি। কিট এলে আরএমপিতেও মাদকাসক্ত শনাক্তে ডোপ টেস্ট শুরু হবে। কবে নাগাদ কিট আসবে- জানতে চাইলে বলেন, পুলিশ সদর দফতর যখন সরবরাহ দেবে তখনই শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর