দ্বিতীয় ধাপে হতে যাওয়া বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়র পাওয়া মেয়র প্রার্থীর ওপর মামলার বোঝা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নাশতকতাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মোট ১৪টি মামলা রয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তার বার্ষিক আয় ও সম্পদ সবচেয়ে বেশি। প্রার্থীদের স্ত্রীদের মধ্যে বিএনপি প্রার্থীর স্ত্রী সবচেয়ে বেশি ধনাঢ্য। তার নগদ টাকার পরিমাণ ২১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০০ টাকা। রয়েছে ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী ও সমপরিমাণ টাকার আসবাবপত্র। সেই সঙ্গে তার নামে ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের ৮৩ দশমিক ৫০ শতক অকৃষি জমি রয়েছে। যা অন্য কোনো প্রার্থীর স্ত্রীর নেই। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা মেয়র প্রার্থীদের হলফনামা ঘেঁটে এ তথ্য জানা গেছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুুস সাত্তার, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য স্বাধীন কুমার কুন্ডু, বিএনপির বিদ্রোহী হিসেবে জগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জানে আলম খোকা ও হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইমরান কামাল। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুুস সাত্তারের বার্ষিক আয় ৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
বিএনপি প্রার্থী স্বাধীন কুমার কুন্ডুর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মোট মামলা রয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে ১০টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এসব মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। তবে এখনো বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে তার বিরুদ্ধে।