আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে যে কোনো পর্যায়ের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত হন। সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক ও সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সিরাজসহ উপকমিটির অন্য সদস্যরা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্রোহী ও তাদের মদদদাতাদেরও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। পরবর্তী ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে যে কোনো পর্যায়ের নেতা এবং জনপ্রতিনিধি জড়িত থাকলে বা কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনাকালে অসহায় মানুষের সুরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নেতৃত্বে যে উদ্যোগ চালানো হয়েছিল তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অথচ বিএনপি বরাবরের মতো মিথ্যা বলছে। সরকার নাকি করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা যখন মানুষের কল্যাণে দিবারাত্র সেবা দিয়েছে, তখন বিএনপি উটপাখির মতো বালুতে মাথা লুকিয়ে রেখেছিল। আর এখন নির্লজ্জভাবে বলছে, সরকার ব্যর্থ। তিনি বলেন, বিএনপি করোনা টিকা নিয়ে আগাম অপপ্রচার শুরু করছে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে যে কোনো কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের রাজনীতি। পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির নিশ্চয়তা, চাকরির নিরাপত্তা এবং শ্রমিক কল্যাণ ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে শেখ হাসিনা সরকার।
