আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবে। কিন্তু বিএনপি পরাজয় মেনে নিতে চায় না। বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই ‘হত্যা ও সন্ত্রাসের’ রাজনীতির উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে। গতকাল সকালে রাজধানীর আজিমপুরে সেভেন মার্ডার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। ১৯৯৪ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরের দিন বিএনপির পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল আজিজের লোকজন লালবাগে আওয়ামী লীগের বিজয় মিছিলে সশস্ত্র হামলা চালায়। সেদিন ব্রাশফায়ারে আওয়ামী লীগের সাতজন নেতা প্রাণ হারান। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, হাজী সেলিম এমপি, নুরুল আমিন রুহুল এমপি, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, কাজী মোর্শেদ কামাল, মিরাজ হোসেন, মহিউদ্দিন মহি, গোলাম আশরাফ তালুকদার, রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অপরাজনীতি শুধু ১৯৯৪ সালেই নয়, ২০০১ সালেও তারা ক্ষমতায় এসে ২১ হাজার নেতা-কর্মীর রক্তে রঞ্জিত করেছিল বাংলার জনপদ।

দলের ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ড ও থানা কমিটিগুলো সম্মেলনের মাধ্যমে করার নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘরে বসে কোনো কমিটি করা যাবে না। এ ধারা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।