রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার মধ্যে ডেঙ্গুর দাপট

বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার মধ্যে ডেঙ্গুর দাপট

রাজধানীতে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ডেঙ্গু রোগী। গতকাল একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তোলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই দেশে দাপট দেখাতে শুরু করেছে ডেঙ্গু। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। সারা দেশে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ঢাকায় এক দিনে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ১৯৪ জন। ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছে ১০ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট রোগী ভর্তি রয়েছেন ৯৯৭ জন। এদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯৫৮ জন। অন্য বিভাগে মোট রোগী ভর্তি রয়েছেন ৩৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৩১৯ জন। চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ হাজার ৩১২ জন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ১০ জন মৃত্যুর খবর পাঠানো হয়েছে। 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে খুবই উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু করোনাভাইরাস নয়, এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও করোনার মতোই ডেঙ্গু নিয়ে অধিকতর সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এখন একই সঙ্গে অনেকের মধ্যে করোনা ও ডেঙ্গু দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের রোগী দ্রুত বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যায়। বিশেষ করে শিশুদের জন্য ডেঙ্গু বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সে কারণে তাদের সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই হেলাফেলা করা যাবে না। উপসর্গ বোঝা মাত্রই করোনার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু পরীক্ষা অবশ্যই করতে হবে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা বলছেন, গত বছর ডেঙ্গুর এত প্রকোপ দেখা যায়নি। কর্তৃপক্ষ চিরুনি অভিযানসহ বেশ কিছু কার্যক্রম চালিয়েছিল। এবার ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেশের সিটি করপোরেশনগুলোকে নিয়ে একাধিক প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন প্রতিদিন সকালে মশার লার্ভা মারার জন্য লার্ভিসাইডিং এবং বিকালে উড়ন্ত মশা মারার জন্য অ্যাডাল্টিসাইডিং করছে বলে জানা গেছে। কিন্তু ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নয়ন হচ্ছে না। ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।

জানা গেছে, মিটফোর্ড হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন ১৮৯ জন। এখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন। ঢাকা শিশু হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন ৪৮ জন।

সর্বশেষ খবর