রবিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ

দূর হয়নি তীব্র যানজটের আশঙ্কা

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

প্রায় ৩ হাজার ২৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ প্রায় ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। তবে দূর হয়নি তীব্র যানজটের আশঙ্কা। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশও (সিএমপি) তীব্র যানজটসহ নানা বিষয়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এক সভায় চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হলে সেখান দিয়ে গাড়ি চলাচলে ভবিষ্যৎ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়। সিএমপির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার পথে জি-১ এবং জি-২ রোডে ডানমুখী চলাচলের কোনো লেন না থাকায় এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচলে বড় ধরনের জটিলতা ও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে। এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সমাধান না করে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে ভুক্তভোগীরা। সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে সিএমপির কারিগরি টিমের পক্ষ থেকে এক্সপ্রেসওয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে জানানো হয়, জি-১ এবং জি-২ রোডের ভবিষ্যৎ যানজট সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) তিনটি ইউলুপ নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ইউটার্ন-১ নির্মাণ করতে হবে সিডিএ জিআই এক্সপ্রেসওয়ের নিচ দিয়ে, ইউটার্ন-২ নির্মাণ করতে হবে জি-১ রোডে এবং ইউলুপ-৩ নির্মাণ করতে হবে বিমানবন্দর রোডে। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর উক্ত সড়কের ওপরে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি) এর বহুতল অবকাঠামো নির্মাণের সম্ভাব্য জটিলতা প্রসঙ্গে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ হাজার ২৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মেগা প্রকল্প নিয়ে সংকটে পড়েছে বাস্তবায়নকারী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। মূলত চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় একাধিক মেগা প্রকল্পের সংযোগ হওয়ায় সুষ্ঠু যানবাহন ব্যবস্থার বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে এসে এক্সপ্রেসওয়েকে ঘিরে নতুন প্রকল্প নিতে হচ্ছে সিডিএকে। এতে নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াও নতুন প্রকল্পের কারণে প্রকল্পগুলোর সুফল পেতে বিলম্ব হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, সিএমপি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যানজট নিয়ে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সে বিষয়ে অবগত আছি। আমাদের নকশা অনুযায়ী কাজ চলছে। যেহেতু ট্রাফিক সিস্টেম ব্যবস্থাপনা সিএমপি নিয়ন্ত্রণ করে সেজন্য তারা আমাদের কিছু নকশা সংস্কারের কথা বলেছে। আমরা তাদের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের কারিগরি দল নকশা প্রণয়নের কাজ করছি।

নতুনভাবে তিনটি সড়কের সমন্বয় করার জন্য নকশা প্রণয়ন কাজ চলছে।

নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের সঙ্গে আউটার রিং রোড এবং নগরীর সঙ্গে সংযোগ বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনার বড় ধরনের গলদ আছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা অংশের সঙ্গে গাড়ি চলাচল নিয়ে সামনে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে। সিএমপির পর্যবেক্ষণের পরে এখন নতুন করে নকশা প্রণয়ন করছে। এভাবে সমস্যার সমাধান হবে না। টানেলের গাড়ি চলাচলে আরও সহজিকীকরণ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর