‘চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশে প্রতিদিনই অপরিষ্কার-আবর্জনায় ভরপুর থাকে। হঠাৎ পরিষ্কার-আবর্জনাহীন দেখা যাচ্ছে চট্টগ্রাম রেলওয়ের নতুন-পুরাতন স্টেশনের আশপাশ এলাকা। প্রতিদিনের মতো থাকা সেই ভাসমান দোকানগুলো নেই। রেলস্টেশন এলাকার আশপাশে হকার-ভাসমান দোকান না থাকায় মনে হচ্ছে আসলেই সৌন্দর্যের নগরী চট্টগ্রাম এটি। এসব কর্মকাণ্ড দেখেই মনে হলো কেউ হয়তো আসছেন, না হলে এত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার কথা না।’ এ কথাগুলো বলেন একাধিক পথচারী মানুষসহ সংশ্লিষ্টরা।
আজ শনিবার চট্টগ্রামে তিনটি পৃথক প্রোগ্রামকে ঘিরে রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন পরিদর্শনে আসার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তায় রয়েছেন রেলওয়ে প্রশাসন। মন্ত্রীর সঙ্গে রেলওয়ে সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন। তিনি বলেন, রেলমন্ত্রী সকালে চট্টগ্রাম এসেই তিনটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) পূর্বাঞ্চলের কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন নয়, রেলের যে কোনো বিষয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে আরএনবির সদস্যরা মাঠে আছেন। তবে প্রতিটি স্টেশনই সুন্দর থাকুক, তা সবাই প্রত্যাশা করেন। তবে প্রয়োজনীয় লোকবল আরও বাড়লে কাজের গতিও বেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
টিকিট কিনতে যাওয়া ফিরোজ বলেন, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন নতুন রূপে দেখা গেছে। হয়তো রেলের কেউ আসবেন। প্রতিদিন এমন হলে আরও সুন্দর হয়ে উঠবে রেল এলাকা।