সিলেটের কানাইঘাটে দিনদুপুরে ফরিদ উদ্দিন নামের এক যুবক খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নবনির্বাচিত এক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিরোধিতার জের ধরে খুন করা হয় ফরিদকে। হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নে অংশ নেয় তিনটি গ্রুপ।
গতকাল সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান। নিহত ফরিদ উদ্দিন কানাইঘাট উপজেলার খাসাড়িপাড়া গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে। লে. কর্নেল রফিক উদ্দিন জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সদস্য নাজিম উদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে ফরিদ উদ্দিন গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলাও রয়েছে। নির্বাচনের সময় ওই বিরোধ আরও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ৩১ জানুয়ারি মোটরসাইকেলে মমতাজগঞ্জ বাজার থেকে ফরিদ ও তার শ্যালক শাহীন বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বড়খেওড় এফআইভিডিবি স্কুলের সামনে আসার পর দুজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফরিদকে গুরুতর আহত করে তার একটি পা কেটে নেয় দুর্বৃত্তরা। আহত হন শাহীনও। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফরিদ। এ ঘটনায় ফরিদের বাবা রফিক উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
র্যাব-৯ অধিনায়ক জানান, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর র্যাব ছায়া তদন্তে নামে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় অভিযান চালিয়ে মৌলভীবাজারের শেরপুর থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী নাজিম উদ্দিন মেম্বারকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাওছার আহমদকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও মোস্তাক আহমদকে নগরীর বন্দরবাজারের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়।