সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে ফের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কেন্দ্র থেকে জেলার আওতাধীন ১৩ ইউনিটের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এই অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য জেলা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। কমিটিগুলো প্রকাশের পর বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পদত্যাগেরও ঘোষণা দিচ্ছেন। দলীয় সূত্র জানায়, বুধবার কেন্দ্র থেকে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৩টি ইউনিটের (উপজেলা ও পৌর শাখা) ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত কমিটিগুলো প্রকাশের পর বিদ্রোহ দেখা দেয়। ১৩টি ইউনিটের মধ্যে জকিগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা, বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌরসভা, গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ও সিলেট সদর উপজেলা কমিটি নিয়ে দেখা দেয় অসন্তোষ। কেন্দ্র থেকে অনুমোদন ও ঘোষণা দেওয়া হলেও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব দেওয়ান জাকির হোসেন খানের দাবি এ ৯টি ইউনিটের কমিটির ব্যাপারে তার সঙ্গে কোনো আলোচনাই হয়নি। জেলা আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল কেন্দ্রকে ভুল বুঝিয়ে কমিটিগুলো অনুমোদন করিয়ে নিয়ে এসেছেন। তবে জেলা আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল সদস্য সচিব জাকিরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কমিটি গঠন নিয়ে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম একাধিকবার বৈঠক করেছে। বৈঠকগুলোতে জাকির উপস্থিত হননি। কমিটি জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় কমিটিগুলো ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এদিকে কমিটি ঘোষণার পর বুধবার রাত থেকে নতুন কমিটিতে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।
বিভিন্ন কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা ফেসবুকে ক্ষোভ ঝেড়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছেন। কমিটিতে জ্যেষ্ঠতা রক্ষা করা হয়নি, ত্যাগীদের মূল্যায়ন হয়নি- এমন অভিযোগ তুলে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছেন। সঙ্গে জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা। সিলেট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য পদে স্থান পাওয়া বাবর উদ্দিন বাবলা ফেসবুকে লিখেছেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব আপনাদের সম্মানার্থে জানাচ্ছি যে, আমি সিলেট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পদে সিভি জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে সদস্য আর আমার জুনিয়রকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দিলেন। তাই আমি প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করলাম।’ একইভাবে বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি থেকে অনেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছেন।