বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

পাখিখাদ্য খেরাছির বাম্পার ফলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

পাখিখাদ্য খেরাছির বাম্পার ফলন

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পতিত জমিতে এ বছর খেরাছির (চিনা) বাম্পার ফলন হয়েছে। পোষাপাখি এবং পশুখাদ্য হিসেবে চাহিদা বাড়ায় ও ভালো দাম পাওয়ায় চলতি বছর অধিক জমিতে খেরাছির চাষ করেছেন চাষিরা। এলাকায় পোষাপাখি প্রেমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে খেরাছির চাহিদাও বেড়েছে দ্বিগুণ।

জানা যায়, সারিয়াকান্দি উপজেলা বাঙালি এবং যমুনা নদী বিধৌত বলে মাটি বেলে দো-আঁশ। এ মাটিতে প্রায় সব ধরনের ফসল ভালো হয়। আর যমুনা নদী ও বাঙালি নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে ও পতিত জমিতে এবার চাষিরা উল্লেখযোগ্য হারে খেরাছির চাষ করেছে। বর্তমান সময়ে পাখিখাদ্য হিসেবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে খেরাছির। তাই অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর কদরও বেশি। ফলে এর দামও বেশি। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধাপগ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলাম জানান, গত বছর আমি খেরাছির চাষ করে লাভবান হয়েছিলাম। দামও ভালো পেয়েছিলাম। প্রতি মণ খেরাছির ৩২০০ টাকা দরে বিক্রি করেছিলাম। খেরাছির চাষে কোনো বাড়তি খরচ নেই। শুধুমাত্র জমি চাষ করে বপন করে রাখলেই হয়। কোনো নিড়ানি দেওয়া লাগে না। মাঝে একবার সেচ দিতে পারলে ভালো ফলন হয়। গত বছর ১ বিঘা জমিতে আমি ৫ মণ খেরাছির পেয়েছি। এ বছরও খেরাছির লাগিয়েছি। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। সারিয়াকান্দি বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ জানান, এখন সিজন টাইম, তাই খেরাছির দাম একটু কম আছে। তাও ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা মণ খেরাছির কেনাবেচা হচ্ছে। সিজন টাইম বাদে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত খেরাছির বিক্রি হয়।

 সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত বছর ৫০ হেক্টর জমিতে ৫২ মেট্রিকটন খেরাছির (চিনা) উৎপাদন হয়েছিল। এ বছর খেরাছির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হেক্টর অর্জন হয়েছে ৭৫ হেক্টর। যা গত বছরের তুলনায় ২৩ হেক্টর বেশি। সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, পাখিখাদ্য হিসেবে খেরাছির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর দামও তুলনামূলক বেশি। ফলে কৃষকরা এখন খেরাছির (চিনা) চাষের প্রতি অধিকহারে ঝুঁকে পড়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর