তারাগঞ্জে ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে স্থানীয় মসজিদের ইমাম আতিকুল ইসলাম ওরফে আতিক হুজুরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩-এর বিচারক এম আলী আহাম্মেদ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলাসূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর সকালে উপজেলার ঘনিরামপুর ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের ১০ বছরের এই শিশু বাড়ির পাশের নতুন মসজিদের ইমাম আতিক হুজুরের কাছে আরবি পড়তে যায়। সকাল ৮টার দিকে আতিক হুজুর অন্য ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে শিশুটিকে মসজিদসংলগ্ন তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকিও দেন। বাসায় যাওয়ার পর শিশুটির রক্তক্ষরণ শুরু হলে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং এলাকাবাসী ইমামকে আটক করেন। শিশুটিকে প্রথমে তারাগঞ্জ হ্্াসপাতাল, পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। গতকাল আদালত রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন দন্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। সরকারপক্ষের আইনজীবী তায়েজুর রহমান লাইজু মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।’ রায় ঘোষণার সময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
