শনিবার, ৪ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রতারকের খপ্পরে নিঃস্ব বহু তরুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ভাটারা এলাকায় এসএ মুনসুর নামে এক ব্যক্তির খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন বহু তরুণ। সরকারি চাকরির প্রলোভনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ভাটারা এলাকায় অফিস নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন মুনসুর। তার বিরুদ্ধে ফয়সাল আহমেদ নামে এক ভুক্তভোগী ভাটারা থানায় অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এর আগেও মুনসুর রাজধানীর দক্ষিণখানে অফিস খুলে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তিনি ১৮ বছর ধরে প্রতারণা করে আসছেন। ভুক্তভোগী ফয়সাল জানান, ‘মুনসুর সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। টাকা ফেরত চাইলে তিনি তাকে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেন’। মুনসুরের বিরুদ্ধে গত ২৭ এপ্রিল ভাটারা থানায় জিডি করেন ফয়সাল। এর পরই আত্মগোপনে চলে যান মুনসুর। ডিএমপি কমিশনার ও র‌্যাব মহাপরিচালকের কাছেও এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মুনসুরের গ্রামের বাড়ি বরিশালের গৌরনদী থানার  চাদশীতে। তিনি ডটলিংক পাওয়ার টেক নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে এ প্রতারণা করেন’।

ভুক্তভোগী ফয়সাল আরও জানান, ‘ মুনসুর ভাটারা এলাকার অফিসে তিন থেকে চারজন স্টাফ নিয়োগ দেন। তাদের ৩০ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সামান্য কিছু টাকা দিয়ে তাদের সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান। আমিসহ অন্য কয়েকজন ১৫ লাখ টাকা দিই। মুনসুরের গ্রামের বাড়ি বরিশালের গৌরনদী থানার চাদশীতে। তিনি ডটলিংক পাওয়ার টেক নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে এ প্রতারণা করেন’।

ফয়সাল ছাড়াও সাকিব, জাহিদ, মোহন, সাগর, বন্যাসহ অসংখ্য ভুক্তভোগীর সঙ্গে প্রতারণা করেন মুনসুর।

এর আগে মুনসুর দক্ষিণখান থানার পূর্ব ফায়েদাবাদ এলাকায় অফিস খুলে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করেন এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন জায়গায় অফিস খুলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তিনি এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে।

গতকাল রাত ৯টায় এস এ মুনসুরের ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। মুনসুরের ছোট বোন শেলী জানান, গত ২০ বছর ধরে সে (মুনসুর) এলাকা ছাড়া। কোথায় কী করে আমরা জানি না। সে যদি অন্যায় কাজ করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিক’। এ বিষয়ে ভাটারা থানার এসআই রিয়াদ আহমেদ জানান, ফয়সালের জিডির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর