শনিবার, ৪ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
খুলনায় ট্রিপল মার্ডার

পুকুর থেকে নিহতদের মোবাইল ও কাপড়সহ লোহার ট্রাংক উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার কয়রায় বাবা-মা ও মেয়েকে হত্যার সাত মাসেও ‘ক্লু’ উদ্ঘাটন হয়নি। প্রাথমিকভাবে পরকীয়া ও আর্থিক লেনদেনের শত্রুতায় সন্দেহজনক কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে গ্রেফতার হওয়া আসামি আবদুুর রশিদের দেওয়া মিথ্যা জবানবন্দিতে নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানির অভিযোগ করেছেন নিহত হাবিবুল্লাহর পরিবার। এদিকে গত ১ জুন নিহতের বাড়ির অদূরে পুকুরে লোহার ট্রাংকের মধ্যে দুটি মোবাইল ফোন ও জামাকাপড় উদ্ধার হলে তদন্তে নতুন মোড় নেয়। প্রতিবেশী হাকিম মাস্টারের পুকুর পাড়ে মেহগনি গাছ কাটার সময় পুকুরের পানিতে লোহার ট্রাংকটি পাওয়া যায়। হাবিবুল্লাহর মা কহিনুর খানম একটি মোবাইল তার ছেলের বলে শনাক্ত করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার প্রমাণ ধ্বংস করতে মোবাইল ও জামাকাপড়সহ ট্রাংকটি পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ওই মোবাইলে থাকা সিমটি চালু করলে তাতে ১৪টি নম্বর পাওয়া যায়। যার কয়েকটিতে ইংরেজিতে ‘MAL’ লেখা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ নম্বরগুলোর সঙ্গে তক্ষক সাপ বা সীমানা পিলারে জড়িতদের যোগসূত্র থাকতে পারে। জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে বাগালী ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামের হাবিবুল্লাহ গাজী (৩৬), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (৩২) ও মেয়ে হাবিবা খাতুন টুনি (১২)কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পরের দিন সকালে বাড়ির পাশে পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার হয়। নিহত হাবিবুল্লাহ গাজীর মা কোহিনুর খানম বাদী হয়ে ২৬ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতদের নামে মামলা করেন। এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

আমাদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইব্রাহিম শেখ জানান, মোবাইল দুটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যদি তা নিহতদের মোবাইল হয় তাহলে কললিস্ট চেক করলে হত্যাকান্ডে  জড়িতদের শনাক্ত করা যেতে পারে।

নিহতের ভাই মো. মফিজুল ইসলাম জানান, পুলিশ হত্যার পেছনে বিকৃত যৌন লালসা, প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়া দাবি করে যাদের গ্রেফতার করেছে তাদের বেশিভাগই নিরীহ মানুষ। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে আসামি আবদুর রশিদ মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর