ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজারে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও সারা দেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৩ জন ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২২২ জনে। এর আগে সর্বশেষ গত ২১ জুন ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু হয়।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার একই সময়ের মধ্যে সারা দেশে নতুন করে আরও ৫৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩৫ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন চারজন। ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৮ জন। এ নিয়ে বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২২২ জন ভর্তি রয়েছেন।
তাদের মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৭০ জন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭২৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৪৯৮ জন। এ সময়ে ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪৯১ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৩২০ জন। ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ২৩২ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭৮ জন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস করতে মশক নিধন অভিযানসহ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ড্রোন উড়িয়ে ছাদ বাগানে মশার উৎসস্থল খুঁজে বের করে তা ধ্বংসে অভিযান চালাচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসে চালু করেছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।