সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শব্দদূষণের মাত্রা বেড়েছে খুলনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

শব্দদূষণের মাত্রা বেড়েছে খুলনায়

সড়কে অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচল, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার ও উচ্চ শব্দে মাইকিংসহ নানা কারণে খুলনা শহরে শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়েছে। চালকরা বলছেন, শহরে আগের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। যত্রতত্র ইজিবাইক-মাহেন্দ্র চলাচলের কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে চালককে হর্ন দিতে হয়। এতে শ্রবণশক্তি নষ্টসহ শারীরিক নানা সমস্যা হচ্ছে। তবে পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার কমাতে চালকদের সচেতন করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

জানা যায়, ১৭ নভেম্বর খুলনার ডুমুরিয়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে উচ্চ শব্দে গান বাজানো হলে ভোগান্তি তৈরি হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেওয়া হয়। একইভাবে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে শব্দের সহনীয় মাত্রা ৬০ ডেসিবল পেরিয়ে গেছে। খুলনা পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গল্লামারী মোড়ে ৮২ ডেসিবল, ফুলবাড়িগেটে ৭৮, কৈয়াবাজার মোড়ে ৭৮, ডাকবাংলা মোড়ে ৭৫, শিরোমণি বাজারে ৭৬, নতুন রাস্তা মোড়ে ৭৪, বিএল কলেজ মোড়ে ৭৩, শিববাড়ি মোড় ও নিউমার্কেট মোড়ে ৭২, শান্তিধাম মোড়ে ৭০ ও পিটিআই মোড়ে ৬৯ ডেসিবল পর্যন্ত শব্দের মাত্রা সৃষ্টি হচ্ছে। শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুসারে নীরব এলাকা দিনে ৪৫ ডেসিবল রাতে ৩৫ ডেসিবলের মধ্যে শব্দমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবাসিক এলাকায় দিনে ৫০ রাতে ৪০ ডেসিবল, বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৭০ রাতে ৬০ ডেসিবল, শিল্প এলাকায় দিনে ৭৫ ডেসিবল রাতে ৭০ ডেসিবল ও মিশ্র এলাকায় দিনে ৬০ রাতে ৫০ ডেসিবল শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে খুলনা শহরে শব্দদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, শব্দদূষণের কারণে মানুষের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি শব্দদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদফতরসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে উদ্যোগ নিতে বলেন। গতকাল খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির নভেম্বর মাসের সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ বলেন, হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৮টি অভিযান চলেছে। প্রায় ৩৫টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, শব্দদূষণ বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানাসহ সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে যানবাহনের চালক-শ্রমিকদের নিয়ে সমন্বয় সভাও করা হয়েছে। তিনি বলেন, সড়কে যানবাহনের আধিক্য বেড়েছে। এতে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়, রাতে ঘুম হয় না। হার্টের-কিডনির সমস্যা হতে পারে। তবে চালকরা বলছেন, তাদের বাধ্য হয়ে হর্ন দিতে হয়। সড়কে ইজিবাইক মাহেন্দ্রর মতো গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধিতে যানজট এড়াতে হর্ন বেশি দিতে হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর