বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বড় শোডাউনের প্রস্তুতি দুই দলের

প্রধানমন্ত্রী খুলনায় আসছেন জানুয়ারিতে, ধারাবাহিক কর্মসূচিতে জনসমাগম চায় বিএনপি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

বড় শোডাউনের প্রস্তুতি দুই দলের

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে খুলনায় বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এরই মধ্যে আগামী জানুয়ারিতে খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার ঘোষণা দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এর আগে রাজপথে সংগঠনের সক্ষমতা দেখাতে ১ ডিসেম্বর শহীদ হাদিস পার্কে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। এ কর্মসূচিতে মূল দলের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলালীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষকলীগকে সমন্বয় করা হবে। অপরদিকে খুলনায় বিএনপির ধারাবাহিক কর্মসূচিতে জনসমাগম চায় নেতারা। দলের অঙ্গসংগঠনকে শক্তিশালী করতে কমিটি গঠনের পাশাপাশি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে সক্রিয় থাকতে চায় বিএনপি। জানা যায়, খুলনায় ২২ অক্টোবর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের পর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকছে আওয়ামী লীগ। পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে সমন্বয় সভা ও ওয়ার্ডভিত্তিক বর্ধিত সভা করছে দলটি। এবার আগামী জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে জনসভার ঘোষণা দিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, জনতাই শক্তি। জনস্রোতের মধ্য দিয়ে জামায়াত-বিএনপি জঙ্গিবাদকে ভাসিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে আওয়ামী লীগের মহানগর বর্ধিত সভায় জানানো হয়, আগামী জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় জনসভা করবেন। এই জনসভা সফল করতে প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 গতকাল জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, বিগত দিনে বিএনপির সব ষড়যন্ত্রের জবাব আওয়ামী লীগ রাজপথে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে আবারও নতুন কোনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে প্রতিহত করা হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, খুলনায় ২২ অক্টোবর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের পর থেকে তৃণমূলে দলটি রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে অঙ্গসংগঠনে মহিলা দলের কর্মিসভা, পেশাজীবীদের সঙ্গে বিএনপি মিডিয়া সেলের মতবিনিময়, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে যুবদলের কমিটি ঘোষণা, ছাত্রদলের মশাল মিছিল, শ্রমিক দলের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভাসহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। সর্বশেষ গত ২২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া হত্যার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, সরকার বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-নিপীড়ন করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে হামলা-মামলা ও গ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, তৃণমূলে নেতা-কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে পাশে থাকছেন শীর্ষ নেতারা। স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও হামলা-মামলায় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। হামলা-মামলা করে ভয় দেখিয়ে জনতার আন্দোলনকে দমন করা যায় না। ধারাবাহিক কর্মসূচিতে রাজপথে আন্দোলনে থাকছে খুলনা বিএনপি। এ কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ও সমর্থন বাড়ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর