চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের আদালতে হাজিরের সময় আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। একই সঙ্গে খুনের মামলা নিবিড় তদারকির মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সকালে পুলিশ সদর দফতরে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় অংশ নেওয়া একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা এমনটি নিশ্চিত করেছেন। মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ পুলিশের সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. হায়দার আলী খান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। বিষয়টি মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নজরে এনে চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করার সময় অধিক সংখ্যক পুলিশ সদস্য সঙ্গে দেওয়া, দাগি আসামিদের আলাদা প্রিজন ভ্যানে করে বহন করা, কারাগার থেকে আদালত পর্যন্ত পুরো পথে সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে থানাগুলোতে যেসব অপরাধের ঘটনায় বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে এর মধ্যে খুন, ডাকাতি ও চুরি মামলা বেশি। তাই এসব অপরাধ আগাম প্রতিহত করাসহ দায়ের হওয়া মামলা নিবিড় তদারকির মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় এআইজি (ক্রাইম অ্যানালাইসিস) সুনন্দা রায় অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন, ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন। সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন মামলার পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, অক্টোবর মাসে সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় মোট রুজুকৃত মামলা, ডাকাতি মামলা, খুন মামলা, ধর্ষণ মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হ্রাস পেয়েছে।