বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মশার উপদ্রব বাড়ছে খুলনায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়ে বিভ্রান্তি, বিভিন্ন সংগঠনের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

মশার উপদ্রব বাড়ছে খুলনায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা

খুলনায় মৌসুম পরিবর্তনের শুরুতে মশার উপদ্রব চরমে পৌঁছেছে। দিনে-রাতে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। সিটি করপোরেশন সোয়া ৩ কোটি টাকার বাজেটে ওষুধ ও কালো তেল তৈরির ফার্নেস অয়েল ডিজেল ক্রয়, ফগার মেশিন ক্রয়, হ্যান্ড ¯ন্ডেপ্র মেশিন ক্রয় মেরামত করলেও মশা দমন করা যাচ্ছে না। এতে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বাড়ছে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে নগরীতে মশার উপদ্রব বেড়েছে। বাসাবাড়িতে দিনের বেলা মশারি টাঙিয়ে রাখতে হয়। সন্ধ্যার পর মশার উৎপাত আরও বাড়ে। মশারি, কয়েল ইলেকট্রিক ব্যাট ব্যবহার করেও মশার কামড় থেকে নিজেদের রক্ষা করা যায় না। বেসরকারি সংগঠন খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আ ফ ম মহসীন জানান, নগরীতে মশার উপদ্রব ভয়াবহভাবে বেড়েছে। এরই মধ্যে খুলনায় ডেঙ্গু রোগীও শনাক্ত হয়েছে। যা নগরবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। শিশু, বয়স্কদের পাশাপাশি মশার কামড়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়ও ব্যাঘাত ঘটছে। তিনি বলেন, সিটি মেয়র মশক নিধনে নির্দেশনা প্রদান ও উন্নয়ন সমন্বয় সভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধনে সুপারিশ করা হলেও বাস্তবায়ন নেই। এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপও দৃষ্টিগোচর হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন। জানা যায়, খুলনায় চলতি নভেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৫৭১ জন। এর মধ্যে মারা গেছে দুই শিশুসহ আটজন। যাদের বাড়ি বাগেরহাট ও আশপাশের জেলায়। খুলনায় বিভিন্ন সড়কে ও ড্রেনে নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। কেসিসি কনজারভেন্সি শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, ড্রেনের পানি চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় বদ্ধ পানিতে মশা বংশবিস্তার করছে। এ কারণে মশার উৎপাতও বেড়েছে। এদিকে কনজারভেন্সি শাখায় মশক নিধনে সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মকর্তাও নেই। খাতা-কলমে সহকারী কনজারভেন্সি অফিসার আবদুল ওয়াদুদ মশক নিধনে দায়িত্বে থাকলেও বহু আগে থেকেই তিনি হিসাব শাখায় কাজ করছেন। আরেক সহকারী কনজারভেন্সি অফিসার নুরুন্নাহার এ্যানি মশক নিধনে লার্ভিসাইড, অ্যাডাল্টিসাইড ওষুধ এবং কালো তেল প্রয়োগের কথা বললেও তিনি মূলত ভান্ডার শাখার দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া মশক নিধনে সুপারভাইজারদের পরিচালনার বিষয়ে তথ্য জানতে সহকারী কনজারভেন্সি অফিসার আবদুর রকীবের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হলেও তিনি গার্বেস ডিসপোজালে ট্রাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন বলে জানা গেছে।

কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আবদুল আজিজ জানান, মশক নিধনে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কনজারভেন্সি শাখার সবাই কাজ করেন। সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মকর্তা আলাদাভাবে দায়িত্বে নেই। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে ড্রেনে নির্মাণ সংস্কার কাজ চলছে। ফলে ড্রেনে আটকে থাকা পানিতে মশা বংশবিস্তার করছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় মশা একটু বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিনিয়ত মশা নিধনে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর