তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা সারা দেশে সমাবেশের নামে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। তারপরও সরকার সৎ উদ্দেশ্যে তাদের সমাবেশ করার সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। মহাসমাবেশ বানচাল করতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার আজগুবি মামলা দিচ্ছে- দলটির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা যাতে সমাবেশ নির্বিঘ্নে করতে পারে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বরের বদলে ৬ ডিসেম্বর করেছেন। বিএনপি যাতে সময় নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ বানাতে পারে, সে কারণে ছাত্রলীগের সম্মেলন নির্ধারিত তারিখ থেকে দুই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করার যে জেদ ধরে আছে, কিন্তু সরকার চাইছে তারা সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করুক, এ ক্ষেত্রে সমাধান কী হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) সমাবেশ করার সুবিধার কথা ভেবেই সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিয়েছে।
তারা নয়াপল্টনে যে সমাবেশ করার কথা বলেছে, সেখানে নাকি ১০ লাখ মানুষ জড়ো হবে। কিন্তু নয়াপল্টনে ১০ লাখ মানুষ ধরার জায়গা নেই। ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় মাঠ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সরকার সৎ উদ্দেশ্যে তাদের সমাবেশ করার সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে আমরা যখন সমাবেশ করতাম, তখন তাতে গ্রেনেড ও বোমা হামলা চালানো হতো। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হতো। আমাদের সহজে সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। রাসেল স্কয়ারে আমরা ২০ জন নিয়ে দাঁড়ালে পুলিশ হামলা চালাত।
বিএনপির আমলে দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই দেশের জঙ্গি ও সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মধ্যেও জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে। বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে জঙ্গিরাও আগের তুলনায় তৎপর হয়ে উঠেছে।