রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চসিকের গৃহকর মূল্যায়নে ‘কেউ খুশি কেউ হতাশ’

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চসিকের গৃহকর মূল্যায়নে ‘কেউ খুশি কেউ হতাশ’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পুনর্নিধারিত গৃহকর প্রদানে বিপত্তি তোলেন করদাতারা। শুরু হয় নানা কর্মসূচি। এরই প্রেক্ষিতে চসিকের রাজস্ব বিভাগ করদাতাদের অংশগ্রহণে আপিল শুনানি শুরু করে। শুনানিতে করদাতারের সরাসরি নিজের গৃহ নিয়ে সমস্যা-সংকট ও ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তবুও গৃহকর নির্ধারণে কেউ খুশি, কেউ হতাশ।            

চসিক সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার চসিকের রাজস্ব বিভাগের ২ নম্বর সার্কেলের ৪ নম্বর রিভিউ বোর্ডের আওতাধীন ৪, ৫, ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শুনানি চসিক মেয়রের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩০০ করদাতা অংশগ্রহণ করেন। কর প্রদান প্রক্রিয়া কার্যকর, সহজ ও সহনীয় করতে চসিক এ উদ্যোগ গ্রহণ করে।    শুনানিতে অংশগ্রহণ করা নগরের হাজীর পুল এলাকার বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আপিল শুনানির পর গৃহকর অনেক কমানো হয়েছে। এতে আমি খুশি। আমরা মনে করি এটি আন্দোলনের ফসল।  নগরের চান্দগাঁওয়ের লায়লা বেগম বলেন, আমার ভবনে ফ্ল্যাট আছে একটি। সেখানে দুই সন্তান নিয়ে থাকি। এই বাড়ির জন্য চসিক বার্ষিক গৃহকর নির্ধারণ করেছিল ২০ হাজার টাকা। অথচ আগে দিতাম ২ হাজার ৪০ টাকা। আপিলের পরও ৩ হাজার ৭৪০ টাকা গৃহকর নির্ধারণ করা হয়। এটিও আমার জন্য বেশি।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ২০১৭ সালের কর মূল্যায়নে নানা অসঙ্গতি ছিল। এই অসঙ্গতিগুলো নিরসনে চসিকের পক্ষ থেকে আপিল বোর্ড গঠন করা হয়। আপিল বোর্ডে আপিল করলে অসঙ্গতি দূর এবং কর দাতাদের সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারণ করার গুরুত্ব দেওয়া হয়। গত বুধবারের আপিলে প্রায় ৩০০ জন করদাতা শুনানিতে অংশ নিয়ে কর নির্ধারণের ওপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তাই প্রতিটি ওয়ার্ডে এই ধরনের শুনানি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এর মাধ্যমে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন হচ্ছে। 

জানা যায়, ২০১১-১২ সালের পর চসিকে আর কোনো কর মূল্যায়ন করা হয়নি। পরে ২০১৭ সালে গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছিল। এ সময় স্থাপনার ভাড়ার ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ করা হয়। ফলে গৃহকর ৩ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়।

এ নিয়ে করদাতা সুরক্ষা পরিষদসহ বিভিন্ন  সংগঠন আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের মুখে ওই বছর তা স্থগিত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালে মন্ত্রণালয় থেকে স্থগিতকৃত কর মূল্যায়ন আবার সচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা কার্যকর করতে গিয়ে ২০১৭ সালের করমূল্যায়নে নানা অসঙ্গতি প্রকাশ পায়। এ অসঙ্গতি দূর করতে চসিক আপিল শুনানি শুরু করে।    

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর