শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ঠাণ্ডাজনিত রোগে কাবু শিশুরা

বরিশালে এক সপ্তাহে রোগী বেড়েছে দেড় গুণ, এক শয্যায় দুই-তিন শিশুর চিকিৎসা

রাহাত খান, বরিশাল

ঠাণ্ডাজনিত রোগে কাবু শিশুরা

বরিশালে ঠান্ডাজনিত জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় কাবু হচ্ছে শিশুরা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেড় গুণ রোগী বেড়েছে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্থান সংকট হওয়ায় একই শয্যায় দুই থেকে তিনজন শিশুকে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক।

সরেজমিন দেখা যায়, শেরেবাংলা মেডিকেলের দ্বিতীয় তলায় শিশু বিভাগে পা ফেলার জায়গা নেই। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধিকাংশ শিশু গ্রামের। এক বেডে একাধিক শিশু রেখে চিকিৎসা দিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। মেঝে, বারান্দায় এমনকি করিডোরেও চিকিৎসা দিতে হচ্ছে নবজাতক শিশুদের।

প্রসূতি মায়েরা বলেন, গ্রামে শীতের প্রকোপ বেশি। শীতের শুরুতে জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শীতে ফ্লোরে থেকে চিকিৎসা নিতে শিশুদের আরও সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালে সব ধরনের ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে অভিভাবকদের।

শেরেবাংলা মেডিকেলের শিশু বিভাগের নার্সিং ইনচার্জ সুপ্তী সিকদার জানান, গত সপ্তাহে শিশু ওয়ার্ডের ৬০ শয্যায় দৈনিক গড়ে চিকিৎসাধীন ছিল ১৬০ শিশু। এ সপ্তাহে দৈনিক চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় আড়াই শ। আন্তওয়ার্ড ছাড়াও বহির্বিভাগে দিনে চিকিৎসা নিচ্ছে গড়ে ৩ শতাধিক শিশু। নভেম্বরে শিশু ওয়ার্ডে মারা গেছে ২৭ জন এবং ডিসেম্বরে গতকাল পর্যন্ত ২৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার সাহা জানান, এই সময়ে শিশুদের ঠান্ডাজনিত সাতটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। শীতজনিত এসব রোগ থেকে বাঁচতে শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, পুষ্টিকর খাবার দেওয়া, ধোয়া ও ঠান্ডা থেকে দূরে রাখা, ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে শিশু বিভাগে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর