শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

জাতীয় নির্বাচনে কী বার্তা দেবে রংপুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

জাতীয় নির্বাচনে কী বার্তা দেবে রংপুর

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রংপুরে আওয়ামী লীগের জন্য সুখকর ছিল না ২০২২ সাল। জেলা পরিষদ নির্বাচনের পর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খুব খারাপভাবে হেরেছে। এ ছাড়া ২০২১ সালের শেষ দিকে আওয়ামী লীগ হারাগাছ পৌরসভা নির্বাচনেও হেরেছে। এসব নির্বাচনে হেরে যাওয়ার সঠিক কারণ অনুসন্ধান করে আওয়ামী লীগ এগিয়ে না গেলে জাতীয় নির্বাচনে এমন ফলাফল হওয়া বিচিত্র কিছু হবে না। এমনটা মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত ২৭ ডিসেম্বরের সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে ১ লাখ ২৬ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরেছে। এই হার দলের প্রথম সারির নেতারা মেনে নিতে পারছেন না। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও এমন ফলাফলে হতবাক। এর আগে চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু মোটরসাইকেল মার্কা ৬০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনারস মার্কা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ ৪৮৪ ভোট পেয়ে হেরেছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইলিয়াস আহমেদ জেলার ৮টি উপজেলার ৮টি কেন্দ্রের মাত্র দুটিতে জয়ী হয়েছিলেন। এর আগে হারাগাছ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এরশাদুল হক আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে বিজয়ী হন। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে জেলা পরিষদ ও হারাগাছ পৌরসভা নির্বাচনে হারের পর আওয়ামী লীগ সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সিটি নির্বাচনে এই ধরনের ফলাফল দেখতে হতো না।

 সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বিজয়ী হওয়ার পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারার কারণ কী এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে হারের ব্যবধান আরও কম হতো।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, জেলা আওয়ামী লীগ দুটি ধারায় বিভক্ত। জেলা আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু সম্প্রতি সভা করে জেলা সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে বহিষ্কার করেন। তবে জেলা সভাপতি বলেন, ওই বহিষ্কারাদেশ ও সভা অবৈধ। এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে চলছে।

কয়েক বছর পর মহানগর আওয়ামী লীগের ছয় থানা ও ৩৩টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন হলেও তাদের মধ্যে ঐক্য লক্ষ্য করা যায়নি। পদবঞ্চিতরা নীরবে রয়েছেন। এমন অবস্থা চলতে থাকলে জাতীয় নির্বাচনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষারকান্তি মণ্ডল রসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হারার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও তিনি বলেন রংপুরে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর