শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও কমেছে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের গত ১১ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছেন ১০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪ জন বাংলাদেশি কর্মী। এর মধ্যে নারীকর্মীর সংখ্যা ৯৯ হাজার ৬৮৪। তবে এ সংখ্যা গত বছর ছিল ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯। কর্মী পাঠানোর সংখ্যা বাড়লেও কমেছে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ। চলতি বছরের গত নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসছে ১৯.৫৮ বিলিয়ন। যা গত বছরের চেয়ে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ কম।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি ২০২২ অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট-রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী। রামরু আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রামরু প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মেরিনা সুলতানা, প্রজেক্ট ম্যানেজার নুসরাত মাহমুদ, রাবেয়া নাসরিন ও গবেষণা সহায়ক আনিকা তাবাসসুম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, গত ১১ মাসে যে সংখ্যক কর্মী বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছে তা ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে অভিবাসন প্রবাহ ৮১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বাড়বে গত বছরের তুলনায়। চলতি বছরের ১১ মাসে নারীকর্মী গমনের সংখ্যা ৯৯ হাজার ৬৮৪ জন। যা গত বছর গেছেন ৮০ হাজার ১৪৩ জন। চলতি বছর সে সংখ্যক নারীকর্মী বিদেশ গেছেন ডিসেম্বর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকলে গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, এবার ৮১ শতাংশ অভিবাসন বেড়েছে, এটা অনেক বড় বিষয়। কিন্তু রেমিট্যান্স সে তুলনায় আসছে না। সেটা কেন? এটা খুঁজে বের করা দরকার।

সংশ্লিষ্ট ফোরামগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। অভিবাসীদের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি এ সময় দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি পাঠানোর ওপর গুরুত্ব দেন। জনশক্তি রপ্তানিতে সিন্ডিকেট উদঘাটন করে জনসমক্ষে তুলে ধরার কথা বলেন। বিদেশে অভিবাসীর মৃত্যুকে দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর