মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নতুন নিষেধাজ্ঞা আসার আশঙ্কা নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

নতুন নিষেধাজ্ঞা আসার আশঙ্কা নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। তবে আমাদের বিরুদ্ধে ল ফার্ম নিযুক্ত করা হয়েছে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে বানোয়াট তথ্য দেন। তার ফলে কোনো ব্যক্তিবিশেষকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে কোনো সরকার প্রভাবিত হবে বলে মনে হয় না। আমরা মোটামুটি ভালো অবস্থানে আছি। তবে আমাদের দুর্বলতা জানালে আমরা অবশ্যই পদক্ষেপ নেব। এ ক্ষেত্রে আমরা খুবই পজিটিভ। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লাউবাচার সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের মূল্যবোধ ও নীতিতে বিশ্বাস করে, আমরাও একই ধরনের মূল্যবোধ ও নীতিতে বিশ্বাস করি। তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করে, আমরাও করি। আমাদের মধ্যে কোথাও গ্যাপ থাকতে পারে, দুর্বলতা থাকতে পারে এবং তারা যদি বন্ধু হিসেবে সেটি আমাদের বলে, আমাদের জন্য লাভ।

 আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিও। উদাহরণ হিসেবে মোমেন বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে তারা একটি বক্তব্য দিয়েছিল এবং আমরা দেখেছি সেখানে কিছু দুর্বলতা আছে। আমরা সেটি সংশোধন করেছি।

মন্ত্রী বলেন, এটি অত্যন্ত সুখের বিষয় যে বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা খুশি। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে গঠনমূলক আলোচনা সেটি বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গত ৫০ বছরে আমাদের সুসম্পর্কের কথা বলেছেন এবং আগামী ৫০ বছরে আমরা আরও উন্নত অবস্থায় যেতে চাই বলে তিনি জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা ও বাণিজ্যসহ আরও অনেক বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, এখানে বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে। আমরা একসঙ্গে শান্তিরক্ষীতে কাজ করি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অনেক বিষয়ে। আমাদের সমুদ্র নিরাপত্তায় তারা সাহায্য করেছে। আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু জিনিস সংগ্রহ করেছি। সুতরাং, আমাদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের ঘন ঘন বাংলাদেশ সফর সম্পর্ক উন্নতির লক্ষণ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল দেশে বোমাবাজি, সন্ত্রাসের বিভীষিকা ছিল, তখন র?্যাব হয়তো কিছু অ্যাক্সেস করেছে। তবে গত কয়েক বছরে র?্যাব কোনো অ্যাক্সেস করেনি। তাদের ম্যাচুরিটি হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। কয়েক শ জনের প্রমোশন হয়নি। শাস্তিও হয়েছে। এখন তাদের জবাবদিহিতায় আনা হয়েছে। এটা আমরাও চাই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর