ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিল রেখে ‘প্রথম বর্ষ ¯œাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার বদলে এ বছর ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে’ ভর্তির জন্য চার ইউনিটে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শুরু হচ্ছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। গতকাল নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে’ ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোটার সঙ্গে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ কোটা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে চারটি ইউনিটের মাধ্যমে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটগুলো হচ্ছে- ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’।
সময়সূচি অনুযায়ী ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে’র ভর্তি পরীক্ষা ৬ মে, ‘বিজ্ঞান ইউনিটে’র পরীক্ষা ১২ মে, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে’র পরীক্ষা ১৩ মে এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
সব ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ‘চারুকলা ইউনিট’ ব্যতীত অন্য তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। এতে জানানো হয়, ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করা যাবে। ১৮ এপ্রিল থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। সভায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চারুকলা ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫, ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে। সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
