মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ও সেতুতে চলছে ভারী যানবাহন

নিজস্ব প্রতিবদক, রংপুর

ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ও সেতুতে চলছে ভারী যানবাহন

রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুর থেকে লালমনিরহাটের কাকিনা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ও সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। হঠাৎ করে ওই সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তাদের দাবি, ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী না করেই খুলে দেওয়ায় ওই সড়ক ও তিস্তা নদীতে শেখ হাসিনা সেতুসহ সংযোগ সেতুগুলোর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। তবে এলজিইডি বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে তা সংস্কার করা হবে। গতকাল সরেজমিন গঙ্গাচড়ার মহিপুর গিয়ে দেখা গেছে, দেদার সড়কটি দিয়ে পণ্যবোঝাই ট্রাক চলছে। সন্ধ্যার পর ওই সড়ক দিয়ে কমপক্ষে ২০০ থেকে ৩০০টি পাথরবোঝাই ট্রাক চলাচল করে। ওই সড়কে দেখা গেছে, কয়েকটি স্থানের অবস্থা খুবই শোচনীয়।  স্থানীয়দের মতে, পাথরবোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। উদ্বোধনের পর থেকে এ সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। ভারী যানবাহন যাতে চলাচল করতে না পারে এ জন্য  সেতুর  উত্তর পাশে ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। সপ্তাহখানেক আগে ব্যারিকেড খুলে দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। উদ্বোধনের পাঁচ বছর পর সড়ক এবং সেতুর কোনো প্রকার পরীক্ষা ছাড়াই ভারী যানবাহন চলচল করায় হুমকির মুখে পড়েছে সড়ক ও শেখ হাসিনা সেতুসহ সংযোগ সেতুগুলো। সরেজমিন দেখা গেছে, তিস্তা নদীর ওপর শেখ হাসিনা সেতুর উত্তর পাশের রাস্তার এক পাশে লাল পতাকা টানিয়ে সতর্কতা সংকেত দেওয়া রয়েছে। রাস্তার দুই পাশে মাটি সরে গেছে। সেতুর দক্ষিণ পাশে হাবু বালাগাছ সংযোগ সেতুটিও বেহাল। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। সেতুর দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে স্থানটি। লক্ষ্মীটারী সংযোগ সড়কের  সংযোগস্থলের দুই পাশের রাস্তার দুই পাড়ের বালু সরে গিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।   মহিপুর মূল সেতুর দক্ষিণ পাশের বাসিন্দা আবদুস ছালামসহ কয়েকজন জানান, দিনে ট্রাক চলাচলের সংখ্যা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর পাথরবোঝাই ট্রাকের লাইন লাগে। তাদের মতে, প্রতিদিন পাথরবোঝাইসহ কমপক্ষে ৪০০টি মালবোঝাই বড় বড় ট্রাক এ পথে যাতায়াত করে। ভারী যান চলাচলের সময় সেতু কেঁপে ওঠে। মনে হয় এই বুঝি ভেঙে পড়ল। কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যেভাবে ভারী যানবাহন চলছে তাতে দুই মাসের বেশি এ সড়ক টিকবে না। এ ছাড়া বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। রংপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বলেন, দীর্ঘদিন সড়কটি বন্ধ থাকায় তা জনগণের কোনো কাজে আসছিল না। সড়কটি খুলে দেওয়ায় জনগণ উপকৃত হবে। তিনি বলেন, সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব স্থান দ্রুত সংস্কার করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর