সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেছেন, বর্তমানে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ভয়াবহ মাদকের প্রবেশ তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায় যারা জড়িত, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশে যাদের যোগাযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কক্সবাজার অশান্ত হয়ে উঠবে। তিনি নতুন করে মাদক কারবারিদের তালিকা করার দাবি জানান। গতকাল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে তিনি এ দাবি জানান। পীর ফজলুর রহমান আরও বলেন, যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যাদের মানবিকতা দেখিয়ে এ দেশে আশ্রয় দিয়েছিলেন, তারা ৩৪টি ক্যাম্পে থাকে। এ ক্যাম্পের মধ্যে ১৯টি ক্যাম্পে আমাদের এপিবিএন-এর পুলিশ ফাঁড়ি আছে। বাকিগুলোতে কোনো পুলিশ ফাঁড়ি নেই।
তিনি বলেন, এই রোহিঙ্গারা অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া কেটে এখান থেকে বের হয়। তার চাইতেও ভয়াবহ হচ্ছে, আমাদের তুমব্রু সীমান্তে কোনাপাড়া নামে একটা জায়গা আছে, সেটা নো ম্যানস ল্যান্ডের মধ্যে পড়েছে।
সেখানে কয়েক শ ঘরবাড়ি তৈরি করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে কয়েকটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ থাকে এবং তারাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা ওখান থেকে মাদক নিয়ে আসে। নো ম্যানস ল্যান্ডের মধ্যে হওয়ায় কোনাপাড়ায় আমাদের কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাতে পারে না। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফ এবং কক্সবাজারের যারা জড়িত, নতুন করে তালিকা করে যদি এদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে না যাওয়া যায়, তাহলে আমাদের তরুণ সমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কোনাপড়ায় যারা আশ্রয় নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে এ সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বারা এলাকা অশান্ত হবে।পীর ফজলু বলেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে- কোনাপাড়ায় আশ্রয় নিয়ে মিয়ানমার থেকে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো মাদক নিয়ে আসছে, ফলে সন্ত্রাসী ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে ১৩৩টির ওপরে খুনের ঘটনা ঘটেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। পীর ফজলুর রহমান এ কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
