মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকায় ফাঁকা মাঠে বিএনপিকে কর্মসূচির সুযোগ নয়

আগামীকালও মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ

রফিকুল ইসলাম রনি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ঢাকায় ফাঁকা মাঠে বিএনপিকে কর্মসূচির সুযোগ দেবে না আওয়ামী লীগ। জনগণের জানমালের ‘নিরাপত্তায়’ তারা পৃথক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে সক্রিয় থাকবে। এটাই দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। আগামীকাল রাজধানীতে পৃথক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে ক্ষমতাসীনরা। ওইদিন বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ডেকেছে। গত রাতে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সক্রিয় থাকার নিদের্শনা দিয়েছে। এদিকে গতকাল রাজধানীতে এক কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কর্মসূচির পাল্টাপাল্টি কোনো কর্মসূচি আওয়ামী লীগ দেয়নি, দেবেও না। কর্মসূচি ডেকে বিএনপি নেতারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল, সেখান থেকে বেরিয়ে আবারও হাঁকডাক মিথ্যাচার শুরু করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্র করে যারা দেশের মধ্যে ষড়যন্ত্র করছে তাদের মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথে আছে। নষ্ট রাজনীতির জন্ম দিয়েছে বিএনপি। এ পথ থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে কখনই আন্দোলনে সফল হবে না, নির্বাচনেও সফল হবে না। ভণ্ডামির রাজনীতি করছে বিএনপি। গত রাতে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- গণ অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আগামীকাল ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে সব সময়ই মাঠে আছি। আগামীকালের কর্মসূচির দিনও ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত টানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। ঢাকার রাজপথ বিএনপিকে দখল নিতে কোনো সুযোগ দেবে না আওয়ামী লীগ। তাদের মতে, বিগত প্রতিটি আন্দোলনেই দেখা গেছে ঢাকার রাজপথ যার দখলে, দেশও সেই দলের দখলে থাকে। কাজেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপিকে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ দেবেন না ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন পৃথক কর্মসূচি নিয়ে আগামীকাল রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সক্রিয় থাকবে। যেখানেই কর্মসূচির নামে নৈরাজ্য-সন্ত্রাস করা হবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে। দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আর বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি মানেই সন্ত্রাস-নৈরাজ্য। তাদের কর্মসূচি ঘিরে এক ধরনের শঙ্কা থেকেই যায়। সে কারণে আমাদের নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবেন।’

বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পাল্টাপাল্টি হবে কেন? আমরা গণ অভ্যুত্থান দিবসের আলোচনা সভা করব। সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পৃথক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবেন। আমরা তো বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচির জায়গায় গিয়ে সমাবেশ করছি না। তাদের যেমন কর্মসূচি করার অধিকার আছে, আমাদেরও কর্মসূচি পালন করার অধিকার রয়েছে। কাজেই এটা কোনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর