বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাগরদী খাল খনন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

সাগরদী খাল খনন শুরু

বরিশাল নগরীতে দখল-দূষণে হারিয়ে যাওয়া সাগরদী খালের প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন। নাব্য বাড়ানোর পাশাপাশি খালের দুই তীরে ওয়াকওয়ে, বাইসাইকেল লেন, ফুটওভার ব্রিজ, স্ট্রিট লাইট, বেঞ্চ, সবুজায়ন ও ডাস্টবিন স্থাপনের মধ্য দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। এতে নগরীর একাংশের মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে এবং মরা খাল পরিণত হবে পর্যটন কেন্দ্রে। মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া ২২টি খাল খনন প্রকল্প অনুমোদন হলে অন্য খালগুলোও একইভাবে নাব্য বাড়িয়ে দৃষ্টিনন্দন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। নদী-খালের দেশ হিসেবে পরিচিত বরিশাল নগরীর ৪২টি খালের অনেকগুলো ভরাট করে ড্রেন এবং রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। চরেরবাড়ির শোভারানীর খাল পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। অবৈধ দখল-দূষণের কারণে কয়েকটি খাল নালায় পরিণত হয়েছে। খালগুলোর প্রবাহ না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার কবলে পড়েন নগরবাসী। ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণের পর বর্তমান সিটি মেয়র নগরীর পুরনো অংশের ২২টি খাল খনন, তীর সংরক্ষণ, সৌন্দর্যবর্ধন এবং বনায়নের জন্য ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেন। মেয়র হিসেবে সাদিক আবদুল্লাহর ৫ বছর মেয়াদ শেষ হতে চললেও খাল খনন প্রকল্পের অগ্রগতি নেই।

 এ অবস্থায় ভাবমূর্তি রক্ষায় জার্মানির কেএফডব্লিউ ব্যাংকের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজিত নগর উন্নয়ন কর্মসূচির প্রথম পর্বের বরাদ্দের ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে গতকাল বিকালে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাগরদী খাল খনন এবং সৌন্দর্যবর্ধন কাজের সূচনা করেন।

এ কাজের আওতায় সাগরদী খালের কীর্তনখোলা নদীর সংযোগস্থল থেকে সাগরদী হয়ে রুইয়ার পোল পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার খনন, খালের সম্মুখস্থল থেকে বধ্যভূমি পর্যন্ত ১.৩৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে ও বাইসাইকেল লেন, একটি ফুটওভার ব্রিজ, দুই তীরে ৮৬টি বেঞ্চ স্থাপন, খালের তীরে ৮৬টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন, খালে দুই তীরে বিভিন্ন ধরনের ৮৩০টি বৃক্ষ রোপণ এবং ১৫০টি ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশার।

খনন ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজের উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, বিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি মো. শহীদুল্লাহ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা, বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মন্দীপ ঘরাই, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, বিসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর, বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর