বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সংসদে জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কমিটি করে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণের বিধান রেখে ‘জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা বিল-২০২২’ সংসদে পাস হয়েছে।  গতকাল জাতীয় সংসদে স্থিরকৃত আকারে বিলটি পাস হয়। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তবে কিছু সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামরিক সরকারের আমলে জারি করা ‘জাকাত ফান্ড অর্ডিন্যান্স-১৯৮২’ বিলুপ্ত করে নতুন আইন প্রণয়ন হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, জাকাত সংগ্রহ, বিতরণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির ক্ষমতা বোর্ডের থাকবে। কমিটি গঠন সম্পর্কে বিলে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণে কেন্দ্রীয়, সিটি কপোরেশন, বিভাগ, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন করতে পারবে। জাকাত তহবিল গঠন সম্পর্কে বিলে বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে সংগৃহীত জাকাত; প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিম নাগরিক, কোনো বিদেশি মুসলিম ব্যক্তি বা কোনো সংস্থায় জমাকৃত জাকাতের অর্থ থেকে পাওয়া জাকাত এবং শরিয়াহসম্মত অন্য কোনো উৎস্য থেকে পাওয়া জাকাত। শরিয়াহসম্মত খাত ব্যতীত অন্য কোনো খাতে জাকাতের অর্থ ব্যয় বা বিতরণ করা যাবে না। বিলে ধর্মমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে জাকাত বোর্ড গঠনের কথা বলা হয়েছে।

এর সদস্য হবেন ধর্মসচিব (ভাইস চেয়ারম্যান), ধর্ম, অর্থ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন করে যুগ্ম সচিব পদমর্যদার তিন কর্মকর্তা, সরকার মনোনীত পাঁচজন আলেম, সরকার মনোনীত ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের দুজন প্রতিনিধি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সদস্য সচিব)। বছরে এ বোর্ডের কমপক্ষে দুটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সরকার এ বোর্ডের পরিচালনা ব্যয় বহন করবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, জাকাত দারিদ্র্যবিমোচন ও পুনর্বাসনের হাতিয়ার। জাকাত কোনো স্বেচ্ছামূলক দান নয়, বরং জাকাত ধনীর সম্পদ থেকে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের জন্য আল্লাহ নির্ধারিত বাধ্যতামূলকভাবে দেওয়া নির্দিষ্ট অংশ। দেশে ব্যক্তিগত পর্যায়ে জাকাত ব্যবস্থা চালু থাকলেও নানা কারণে তার কাক্সিক্ষত সুফল পাওয়া যাচ্ছিল না। জাকাতের মাধ্যমে এক সময় সারা মুসলিম জাহানে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হয়েছিল। এ আইন পাস হলে দেশ থেকে দারিদ্র্যদূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর