মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

‘পঁচাত্তর আর চার নেতা হত্যার পর মানবাধিকার কোথায় ছিল?’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে যারা ব্যবসা করেন তাদের প্রশ্ন করতে চাই, ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষাধিক নিরীহ মানুষ হত্যা, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে, জাতীয় চার নেতা এবং পরবর্তীকালে বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান পেছনে থেকে তার লোকদের মাধ্যমে যখন অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার?’

রাজধানীর শাহবাগে গতকাল সচেতন নাগরিক সমাজ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ১৯৭১ ও ১৯৭৫, সামরিক শাসনামল, ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারানা হালিম।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের কিছু হলেই যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন খুঁজে পান, সেই তথাকথিত সুশীল সমাজকে বলতে চাই, মানবাধিকারের কথা আপনাদের মুখে শোভা পায় না। দেশের জন্য ক্ষতিকর কাজগুলো আপনারা সমর্থন দেন। আর ভালো কাজে সমর্থন দেন না। যখন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনা ঘটে গেছে, সেই সময় আপনাদের আমরা পাশে পাইনি।’ এ সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর