রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রংপুরে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে কয়েক হাজার ভবন

নেই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

প্রতিনিয়ত ভূমিকম্পের আতঙ্কে রংপুরবাসী। ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে তেমন কোনো প্রস্তুতি নেই। সচেতন মহল বলছে, ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন ফায়ার সার্ভিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিস অফিসগুলোয় দুর্যোগ মোকাবিলায় সামান্য কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে নগণ্য। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার সামর্থ্য কোনো ফায়ার স্টেশনের নেই। রংপুর জেলা সদরেই রয়েছে ৩ শতাধিক বহুতল ভবন। এসব ভবনে দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। অধিকাংশ ভবনই নকশাবহির্ভূত নির্মাণ করা হয়েছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এ ছাড়া উত্তরের ১৬ জেলায় প্রায় ৫ হাজার বহুতল ভবনে দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনো প্রকার প্রস্তুতি নেই। এসব ভবন নির্মাণে ফায়ার সার্ভিসের কোনো নীতিমালা মানা হয়নি। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে এসব ভবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফায়ার স্টেশনগুলোর অভিযোগ স্থানীয় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো তেমন একটা সাপোর্ট দিচ্ছে না ফায়ার সার্ভিস অফিসগুলোকে। ভূমিকম্পসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব ভবন ধসে গিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা থাকলেও ভবন মালিকরা বিষয়টিতে তেমন একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দুর্যোগ মোকাবিলায় তেমন কোনো জনসচেতনতাও নেই এ অঞ্চলে। ভূমিকম্পের মাত্রা ৬-৭ রিখটার স্কেলে উঠলে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। জেলা সুজনের সভাপতি আকবর হোসেন বলেন, এখন থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়বে। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকেই কার্যকর প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। রংপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যেসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ সেসব পরিদর্শন শেষে ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর