বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ক্ষত নিয়েই ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষার্থীরা, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রাও

রাবি প্রতিনিধি

স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের জেরে ক্যাম্পাসে টানা উত্তেজনার পর অনেকটা স্থিতিশীল হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ক্ষতচিহ্ন নিয়ে কিছু আহত শিক্ষার্থীও ক্লাসে ফিরতে শুরু করেছেন। বুলেটে আঘাত পাওয়া এক চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। গতকাল ঢাকার চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। চোখে গুরুতর আঘাতের কারণে ঢাকার চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মেসবাহুল ইসলাম সায়েম ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলিমুল সাকিব। আহত শিক্ষার্থী আল আমিন জানান, চোখে বুলেট লাগার পর থেকে এখন আমি এক চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। একই অবস্থা সাকিবের। তবে সায়েম কিছুটা দেখতে পাচ্ছেন। ডাক্তার বেশকিছু টেস্ট দিয়েছেন। টেস্টের রেজাল্ট পেলেই চোখের অবস্থা জানা যাবে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন কিংবা ছাড়পত্র পেয়েছেন, তারা সবাই যেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করেন। প্রশাসন এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার তা স্বাভাবিক হয়। হাসপাতাল থেকে অনেক আহত শিক্ষার্থী ছাড়পত্র পেয়েছেন। ফলে আহত কিছু শিক্ষার্থীকে ক্লাসেও ফিরতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় আপাতত কোনো আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল সাত ছাত্র সংগঠন। নেতা-কর্মীরা বলছেন, ধ্বংসাত্মক উপায়ে নয়, কেবল শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পক্ষে কাজ করবেন তারা।

অন্যদিকে বিনোদপুরবাসীরও নিদারুণ কষ্টের কথা জানা গেছে। অনেকে বাজারে দোকান খুলতে পারছেন না। দোকান হারিয়ে পথে বসেছেন অনেক ব্যবসায়ী। আবার অজ্ঞাত মামলা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন কেউ কেউ।

বাজার মালিক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, দোকানদারসহ আমরা এলাকাবাসী খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি। প্রায় ৪০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। লুটপাট করা হয়েছে অন্তত ৩০টি দোকান। আহত হয়েছেন প্রায় ২০ জন স্থানীয়। অনেকে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। আবার অনেকে অজ্ঞাত মামলায় আতঙ্কে রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর