বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

যাত্রী সংকটে ঝালকাঠি-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

যাত্রী সংকটে ঝালকাঠি-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

যাত্রী সংকটের কারণে ঝালকাঠি-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। অর্ধশতেরও কম যাত্রী হওয়ায় গত ২৭ মার্চ বিকালে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে ঝালকাঠি ঘাট ছেড়ে যায়নি সুন্দরবন-১২ নামক যাত্রীবাহী লঞ্চ। ওইদিনের পর থেকে ফারহান-৭ নামে আরেকটি লঞ্চ এ রুটে চলাচল করলেও একই সমস্যার কারণে সেটিও বন্ধ করে দেয় মালিক পক্ষ। এদিকে ঝালকাঠি ঘাটে ছয় দিন বেঁধে রাখার পর সুন্দরবন-১২ নামের লঞ্চটি ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যায়। এরপর ঢাকা থেকে আর ঝালকাঠির উদ্দেশে ছেড়ে আসেনি। হঠাৎ লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে লঞ্চ টার্মিনাল সংলগ্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ঘাটে দিনমজুরের কাজ করা ব্যক্তিরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য। যে সময় ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে পুরো ঘাট এলাকা, ঠিক সে সময় সুনসান ভেসে আছে জনমানবশূন্য বিশালাকৃতির দুটি টার্মিনাল। ঈদ সামনে রেখে ঘাট সংলগ্ন দোকানিরা জানালেন তাদের কষ্টের কথা। লঞ্চ বন্ধ হওয়ার পর থেকে তাদের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। ঘাট এলাকার চা দোকানি আবু হোসেন, রফিকুল ইসলাম এবং সুলতান হাওলাদার জানালেন, ‘লঞ্চ বন্ধ হওয়ার পর তাদের দোকানে মালামাল বিক্রি হয় না। সারা দিনে যে কয় টাকা বিক্রি হয় তা দিয়ে কিস্তির (ক্ষুদ্র লোন) টাকা ওঠে না। ঈদ সামনে রেখে সবাই হিমশিম খাচ্ছে।’ ঘাটের শ্রমিকদেরও একই আকুতি। তারা বলছেন, ‘লঞ্চ বন্ধ থাকলে তাদের পণ্য পরিবহনের কাজও বন্ধ থাকে। দৈনিক মজুরির শ্রমিকরা পরিবারের জন্য ইফতারসামগ্রীও জোগাতে পারছেন না।’ এমভি ফারহান-৭ লঞ্চের ঝালকাঠি ঘাট ম্যানেজার মো. সবুজ হোসেন বলেন, ‘ঝালকাঠি থেকে ঢাকা যেতে আমাদের লাস্ট ট্রিপে ৬০ জন ডেক যাত্রী হয়েছে। আর কেবিন ভাড়া হয়েছে দুই-তিনটি। এতে প্রতিবার ঢাকা আসা-যাওয়ায় লঞ্চ মালিকের মোটা অঙ্কের লোকশান গুনতে হয়। তাই এ রুটে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর