বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন

টানা ১১ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুর বিভাগ ছাড়া দেশের অন্য সাত বিভাগের ওপর দিয়ে গতকাল মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এই সাত বিভাগে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের বসবাস। ফলে দেশের বেশির ভাগ মানুষের ওপর তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি চুয়াডাঙ্গায়। এই জেলায় টানা ১১ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ১০টি জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। মেহেরপুর, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে ৪৫ ডিগ্রিতে উঠতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৭ ডিগ্রি। এ ছাড়া মোংলায় ৩৯.৫, যশোরে ৩৯.৪, রাজশাহীতে ৩৯.১, খুলনায় ৩৯ সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, দেশের সাত বিভাগের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

চুয়াডাঙ্গায় টানা ১১ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : গত ২ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত টানা প্রতিদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এ ছাড়া টানা ৯ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে এই জেলার খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বেশি বিপাকে। তীব্র গরম ও রোদের তাপে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান ও রিকশাচালক কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন।

গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে ওষুধ নিচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, গত ১১ দিন একাধারে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এই জেলায়। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার সঙ্গে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে একটানা ৯ দিন। তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।

বাগেরহাটে ধানে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা : বাগেরহাটের ফকিরহাটে চলতি বছর বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। গত কয়েক মাসের পরিচর্যায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিছু এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। তুলনামূলক কম পরিপক্ব এলাকায় প্রচ দাবদাহের কারণে হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কতা জারির পর ছুটি বাতিল করেছে ফকিরহাট উপজেলা কৃষি বিভাগ।

নাটোরে ঝরে পড়ছে আমের মুকুল : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দাবদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। টানা কয়েক দিনের দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গালিমপুর গ্রামের কৃষক আজব আলী, রজব আলী, মখলেছ উদ্দিনসহ অনেকে বলেন, প্রথমে বাগানে আমের মুকুল ভালোই ছিল। পরিচর্যা করায় সেগুলো টিকেও গিয়েছিল। সেগুলো এখন ঝরে পড়ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর