চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ সময়ে এই খাতে রপ্তানি বেড়েছে ৩২ দশমিক শূন্য ৪৮ শতাংশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে কিছুটা ভাটা পড়লেও আশা জাগিয়েছে প্লাস্টিক খাত। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে ১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে রপ্তানি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ ছাড়া লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় এবার রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে এটা আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম। কারণ উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে টাকার অঙ্কটাও বেড়ে গেছে। রপ্তানি খাতে নতুন নতুন দেশ যুক্ত হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য রপ্তানি তুলনামূলক কমার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের লোকাল বাজারে প্লাস্টিক বর্জ্যরে চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে বিদেশে রপ্তানি কমেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত পিভিসি ব্যাগ রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ২ কোটি ১৪ লাখ ডলার। এ খাতে রপ্তানি বেড়েছে ৩২ শতাংশ। অন্যদিকে ১০ মাসে প্লাস্টিক বর্জ্য রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ১ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। রপ্তানি কম হয়েছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যান্য প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি ৪৪ দশমিক শূন্য ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ১০ মাসে এসব পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে ১২ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ৮ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। বিপিজিএমইএর তথ্য মতে, দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫ হাজার কারখানায় প্রায় ১৫ ক্যাটাগরিতে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন হয়। এর মধ্যে পোশাক খাতের জন্য পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার, প্লাস্টিক ক্লিপ, বোতাম; খেলনাসামগ্রীর মধ্যে পুতুল, বল; ঘরে ব্যবহার্য চেয়ার, টেবিল, ডাইনিং টেবিল, বিভিন্ন ধরনের রেক, ঝুড়ি, বাথটাব, জগ, মগ; অফিসে ব্যবহার্য পেপারওয়েট, স্কেল, টেবিল, বলপেন, ফাইল কভার অন্যতম। কৃষি খাতের জন্য পাইপ ও সাইকেলের যন্ত্রাংশের মধ্যে বাম্পার, হাতলের কভার, ব্যাক লাইট, স্পোক লাইট; মাছ ও ডিম রাখার ঝুড়ি, ভিডিও ও অডিও ক্যাসেট, কম্পিউটারের উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্যও দেশে তৈরি হচ্ছে। সংগঠনটির তথ্য মতে, প্লাস্টিক পণ্যের ৪০ হাজার কোটি টাকার স্থানীয় বাজার রয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, স্পেন, কানাডাসহ প্রায় ২৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য।
শিরোনাম
- ইরানের পাশে দাঁড়াল প্রতিবেশী আরব দেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ অক্টোবর)
- ৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
- অতিরিক্ত দুই জজের বাংলোতে দুঃসাহসিক চুরি, আটক ৪
- স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- আগস্টে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে ব্যয় বছর ব্যবধানে ১৯ শতাংশ বেড়েছে
- প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার
- ফের খুলে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত
- মোংলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সাব্বির, সম্পাদক শামীম
- স্বাধীন দেশে আমরা ছিলাম পরাধীন: ফয়জুল করীম
- সীমান্ত অতিক্রম, উত্তর কোরীয় সৈন্যকে আটক সিউলের
- ৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
- জুবায়েদ হত্যার প্রতিবাদে দিনাজপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- অস্ট্রেলিয়ার বিমানকে ধাওয়া দিল চীনা যুদ্ধবিমান
- অগ্নিকাণ্ড-বিশৃঙ্খলা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কোনো বাধা হবে না : রিজভী
- মোংলায় মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধু ফাদার রিগনের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- দেশ থেকে দুর্নীতিকে বিতাড়িত করতে চাই: রেজাউল করিম
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানি বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ
- ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ফিলিপাইন
- স্বপ্ন দেখতেই থাকুন, পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির
সংকটে আশা জাগানো প্লাস্টিক খাত
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে ১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার
রাশেদ হোসাইন
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর