নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোকে শতভাগ শর্ত পূরণ করতে হবে। এখানে কোনো ডিসকাউন্ট (ছাড়) নেই। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। নিবন্ধনপ্রত্যাশী ১২ দলের প্রাথমিক তালিকা ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি জুনের মধ্যেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শেষ করার কথা। এই কমিশনার বলেন, আমাদের টার্গেট জুনের মধ্যে নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করা। যে-কেউ আপত্তি দিতে পারবে। আপত্তি এলে শুনানি হবে, না এলে হবে না। তারপর চূড়ান্ত তালিকা করা হবে। তবে কোনো কারণে আপত্তি শুনানিতে দেরি হলে এটা জুলাইতে যেতে পারে।

দলের নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো কোটা নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ১২টি দল কোয়ালিফাই করলে ১২টিই নিবন্ধন পাবে। একটি কোয়ালিফাই করলে একটিই পাবে। কোনোটিই কোয়ালিফাই না করলে কোনোটিই নিবন্ধন পাবে না।

তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কমিটির বিষয়ে ১২টি দলের তথ্যই কমিশন পেয়েছে। কিন্তু জেলার তথ্য পুরোপুরি পাইনি। কোনোটি ৭০ শতাংশ, কোনোটির ৫০ শতাংশ, কোনোটির ৪০ শতাংশ এসেছে। আর উপজেলার তথ্য এসেছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। আগামী তিন-চার দিন পর আমরা যথাযথভাবে বলতে পারব ঠিক কী তথ্য পেয়েছি।’

এই কমিশনার বলেন, ‘মাঠের তথ্য আর আমাদের কাছে দলগুলো কাগজপত্র যা জমা দিয়েছে, এ-সংক্রান্ত কমিটি তা মিলিয়ে দেখবে। তারপর কমিশনের কাছে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে কমিটি। এরপর প্রাথমিক তালিকা আপত্তির জন্য প্রকাশ করা হবে।’

দলের নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো কোটা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১২টি দল কোয়ালিফাই করলে ১২টিই নিবন্ধন পাবে। একটি কোয়ালিফাই করলে একটিই পাবে। কোনোটিই কোয়ালিফাই না করলে কোনোটিই নিবন্ধন পাবে না।’

কোনো দলের সব ঠিক থাকার পরও যদি বড় দলগুলো তাদের কার্যালয় বা ব্যানার-বিলবোর্ড খুলে ফেলে, নিবন্ধনপ্রত্যাশী দলগুলোর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওনারা যে কাগজপত্র দিয়েছে, তা মাঠে দেখা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্ত করেছেন। তখন সংশ্লিষ্ট দলের নেতারা বলেছেন (ব্যানার-বিলবোর্ড) ভেঙে ফেলেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে আগে যে সেগুলো ছিল, তার কোনো ফটো দেখাতে হবে। প্রমাণ থাকতে হবে যে ছিল। প্রমাণের দায়িত্বও তো তাদের। অফিস করলে তো মিলাদ দেয়, সাংবাদিকদের দাওয়াত দেয়, সেগুলোর প্রমাণ দেখাবে।’

শতভাগ শর্ত পূরণ করলে নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞাপন দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে কারও কোনো আপত্তি থাকলে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জানান। তাহলে শুনানি হবে; আমরা আবার যাচাই করব। অভিযোগ সঠিক না হলে পাবে, সঠিক হলে পাবে না। আর শর্ত পূরণ করতে হবে তো হবেই, না করলে একটাও হবে না। এখানে ডিসকাউন্ট নেই। শতভাগ শর্তই পূরণ করতে হবে।’