বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেছেন, যা কখনো সম্পাদিত হয় না তা সংবাদ হতে পারে না। তাই যে তথ্য সম্পাদিত তা সংবাদমাধ্যমের উপাদান হিসেবে গণ্য। সামাজিক মাধ্যম অসম্পাদিত হওয়ায় সেটা সংবাদ হিসেবে পরিগণিত হতে পারে না। গতকাল প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর সেমিনার কক্ষে কুমিল্লা জেলার সাংবাদিকদের জন্য তিন দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নঈম নিজাম বলেন, সংবাদমাধ্যম ও সংবাদকর্মীকে শব্দ চয়নের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। তা না হলে প্রতিবেদনের পুরো অর্থই পরিবর্তন হয়ে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ পাবে। যার কারণে সংবাদমাধ্যম ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং পাঠক ভুল বার্তা পাবেন। সংবাদকর্মীদের এসব বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
সাংবাদিকতাকে চ্যালেঞ্জিং পেশা উল্লেখ করে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম কপি-পেস্ট পরিহার করে মাঠপর্যায়ে কাজের মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সংবাদকর্মীর জ্ঞানের ভান্ডার অনেক উঁচু স্তরের হতে হবে। নতুবা বস্তুনিষ্ঠ ও রসাত্মকবোধক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হবে না।
প্রধান অতিথি এনজিও জার্নালিজম, সিন্ডিকেট জার্নালিজমসহ বিভিন্ন ধরনের সাংবাদিকতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ঢংয়ে প্রতিবেদন তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, কাজ করতে হলে বাধা আসবে। সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে উত্তরণের পথ গ্রহণ করতে হবে। তিনি সত্তর দশকের সাংবাদিকতার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করেন। এমনকি রংপুর অঞ্চলের সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের বিশেষ প্রতিবেদনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
নঈম নিজাম ইরাক, সিরিয়া ও প্যালেস্টাইনের যুদ্ধের উদাহরণ টেনে বলেন, সাংবাদিকতার বিভিন্ন ক্ষেত্র রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিকতার ওপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, পশ্চিমারা নিজ দেশের স্বার্থের ক্ষেত্রে দেশের বিরূপতথ্য তাদের মিডিয়াতে প্রচার করে না। অথচ আমরা কিন্তু তার বিপরীত। অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ সাংবাদিকতার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের স্বীয় ভূমিকায় প্রতিবেদন তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাফর ওয়াজেদ বলেন, নির্বাচনকালীন রিপোর্টিংয়ের জন্য সংবিধান ও নির্বাচনি আচরণবিধি সম্বন্ধে সম্যক ধারণা রাখা অত্যাবশ্যক। অনুষ্ঠানে পিআইবির পরিচালক (অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ) শেখ মজলিশ ফুয়াদ উপস্থিত ছিলেন। পিআইবির প্রশিক্ষক মো. শাহ আলমের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণে ২৮ জন সাংবাদিক অংশ নেন।