বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের জন্য মায়াকান্না করছেন ভারতের রাজনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা। প্রযুক্তির এই যুগে বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েও সফল হতে না পেরে- প্রতিহিংসাবশত অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের আত্মা বিক্রিকারী মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা। গতকাল ‘আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে’ জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চিকিৎসাধীন আহতদের খোঁজখবর শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্যসচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুন, উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দীন বকুল, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা ডা. আওয়াল প্রমুখ।
রিজভী আহমেদ আরও বলেন, বার্ন ইউনিটে যে দৃশ্য দেখলাম, তা অবর্ণনীয়। আন্দোলনের সময় আমি কারাগারে ছিলাম। বের হয়ে অনেক হাসপাতালে গিয়েছি- কিন্তু আজ বর্বরতার যে মর্মান্তিক দৃশ্য দেখলাম, তাতে বুকফাটা কান্না বেরিয়ে আসে। কারও মুখ ঢাকা, মুখ খুললেই মনে হয়, এ যেন কোনো হরর ছবির দৃশ্য দেখছি। কে নেবে তাদের দায়িত্ব? কী করে তারা বাঁচবে? এই পরিস্থিতি তৈরি করে গেছেন পলাতক স্বৈরাচার। আর তাদের জন্য ভারতের এত মায়াকান্না? তার জন্য আজকে সীমান্তে সীমান্তে এসে বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে পড়ে তারা নাকি বিক্ষোভ করবে। তিনি আরও বলেন, শুধু শেখ হাসিনাকে রক্ষার উদ্দেশে ইসকনের বিতাড়িত সদস্য চিন্ময়ের জন্য ভারতের দিল্লি থেকে শুরু করে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে পর্যন্ত কান্নার রোল পড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র। রক্তের দামে কেনা এই বাংলাদেশকে কেউ মাথা নত করাতে পারবে না। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানান তিনি।