হাতাহাতি আলটিমেটাম, স্মারকলিপি দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছে ভোলাবাসীর সমাবেশ। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সেতু নির্মাণ এবং গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দাবিতে সমাবেশ করে ‘আগামীর ভোলা’ নামে একটি সংগঠন। এ সময় তারা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সমাবেশ চলাকালীন সময়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রেস ক্লাবের ভিতরে এসে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন অংশগ্রহণকারীরা। পরে লাঠিচার্জ করে একাংশকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে সমাবেশ শেষে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে স্বল্প সময়ের জন্য অবস্থান করেন সমাবেশকারীরা। এতে সাময়িকভাবে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এ সময় তারা দাবি আদায়ে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দেন। না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। শাহবাগ থানার প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন দাবি নিয়ে ভোলার বিভিন্ন স্তরের জনগণ সমাবেশ করতে এসেছিল। এ সময় তারা প্রেস ক্লাবের ভিতরে নিজেদের মধ্যে ক্ষিপ্ত আচরণ করে। যেহেতু জাতীয় প্রেস ক্লাব একটি সংরক্ষিত এলাকা, তাই পুলিশ তাদের সেখান থেকে বের করে দেয়।’
এর আগে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভোলা জেলায় প্রায় ২৫ লাখ লোকের বসবাস।
ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা নাই, যাতায়াতের জন্য সেতু নেই, গ্যাস নেই। এমনকি মূল ভূখণ্ডের মানুষের জন্য নামেমাত্র কিছু হাসপাতাল থাকলেও প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়াও দুষ্কর। এর মূল কারণ হলো ভঙ্গুর প্রশাসনিক ব্যবস্থায় চিকিৎসকদের ভোলায় হাসপাতালগুলোতে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন বহু লোক বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন।