ডলারের বাড়তি দরের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক আরোপের ফলে বিমান ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। এ অবস্থায় আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ককর কমানোর দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে একটি উড়োজাহাজের ভাড়ায় যে পরিমাণ ট্রাভেল ট্যাক্স এবং এক্সাইজ ডিউটি নেয় এনবিআর, তা দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যর চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি। বর্তমানে ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর, দুবাই, ওমান, শারজাহ, কুয়ালালামপুর রুটের টিকিটে যাত্রীপ্রতি বাংলাদেশ সরকার ৯ হাজার ৮৯০ টাকা ট্যাক্স আদায় করে। অথচ একই রুটে মালয়েশিয়া সরকার ট্যাক্স নেয় ২ হাজার ৫৬৮, সিঙ্গাপুর ৫ হাজার ৮৭৮, ওমান ৩ হাজার ৮৭৯, দুবাই ও শারজাহ ৪ হাজার ৩৩২ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে কোনো যাত্রী এ পাঁচটি রুটে ভ্রমণ করলে ৭ হাজার টাকা অতিরিক্ত ট্যাক্স দিতে হয়। টিকিটের দামের সঙ্গে এনবিআর যেসব ট্যাক্স আদায় করে তার মধ্যে ট্রাভেল ট্যাক্স ৪ হাজার এবং এক্সাইজ ডিউটি ২ হাজার ৫০০ টাকা। ২০২৩ সালের আগে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটের টিকিটে যাত্রীর কাছ থেকে কোনো ট্রাভেল ট্যাক্স ছিল না। ওই বছর থেকে প্রথমে ২০০ টাকা হলেও বর্তমানে ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সার্কভুক্ত দেশে ভ্রমণের টিকিটের সঙ্গে বর্তমানে ২ হাজার টাকা ভ্রমণকর নেওয়া হচ্ছে, যা আগে ১ হাজার ২০০ টাকা ছিল। অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে ট্রাভেল ট্যাক্স প্রায় দিগুণ বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা যাত্রীর টিকিটের দামের সঙ্গে যুক্ত হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, মধ্যপ্রাচ্যসহ কয়েকটি দেশে বিমানের টিকিটের আকাশচুম্বী ভাড়া নিয়ে সরকারকে ভুল বার্তা দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। চাহিদা-জোগানের অসামঞ্জস্য এবং ভাড়া বৃদ্ধির নেপথ্য কারণগুলো আড়াল করে দোষারোপের রাজনীতি চলছে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের জন্য টিকিটের আরও উচ্চমূল্যের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আয়কর গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছেন।