বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বরাদ্দে জনগণ হতাশ হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন হলে জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। যার কারণে দারিদ্র্যের হার বেড়ে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী দরিদ্র থেকে অতিদরিদ্র হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছে বিএসপি। গতকাল রাজধানীতে দলটির জাতীয় স্থায়ী পরিষদের সভায় বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুল আজিজ সরকার, অতিরিক্ত মহাসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা প্রতিবারই দেখি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির অনুপাতে খুবই কম। বিএসপি মনে করে মানবসম্পদ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। জিডিপির ২ ভাগের নিচে বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। অথচ প্রয়োজন ছিল অন্তত ৪ ভাগ। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষা খাতে, বিশেষত কারিগরি শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ জরুরি। শিল্প-বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট রূপরেখা বা নীতি আমরা বাজেটে দেখছি না।’