জুলাই ঘোষণাপত্র প্রস্তাবনা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রয়োজন সংস্কার ও নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার। জুলাইয়ে শহীদ ও আহতদের তালিকা ছাড়া কোনো ঘোষণাপত্র মেনে নেওয়া হবে না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিসের (এনডিজে) উদ্যোগে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রস্তাবনা শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক এম শহীদুজ্জামান। সভায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়করা বক্তব্য দেন। বক্তারা আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে কতজন শহীদ ও আহত হয়েছেন তার কোনো হিসাব কি সরকারের কাছে নেই? এটি ছাড়া জুলাই ঘোষণাপত্র শুরু করবেন কি দিয়ে? হয়তো আগে বাইরে থেকে তৈরি কোনো ঘোষণাপত্র পাব। এমনটা হলে আমরা মেনে নেব না।
ভবিষ্যতে যাতে কেউ ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে না পারে সেজন্য ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। রাজনীতি গণমুখী করতে হবে। অনেক চাপাচাপির পর ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় দেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে কখনো জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবি আসেনি।
আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতেও আন্দোলন করতে দেখিনি। আগে সংস্কার ও গুণগত পরিবর্তন নাকি নির্বাচন তাতে এ সরকার ফেল করেছে। পৃথিবীর কোনো দেশে বিপ্লব হলে পরবর্তী সরকার সবকিছুর আগে একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করে, যা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত থাকে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, দীর্ঘ ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই আন্দোলনের ঘোষণাপত্র তৈরি করতে পারেনি। এ ব্যর্থতা বর্তমান সরকারের।