ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিয়ের বয়স কমিয়ে ‘ভয়ংকর উদাহরণ’ তৈরি করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তিনি বলেন, বিগত সরকার বাল্যবিয়ের মতো একটি সংবেদনশীল সামাজিক বিষয়ের সংজ্ঞা পরিবর্তনের মাধ্যমে বিয়ের বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করে ভয়ংকর উদাহরণ তৈরি করেছিল। ফলে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আমাদের দীর্ঘদিনের অর্জন টেকসই হয়নি। গতকাল ঢাকার এফডিসিতে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রমুখ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশ অফিসের শ্রম প্রশাসন বিভাগের প্রধান নীরান রামজুঠান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বর্তমান সরকার দুর্নীতি নিরসনে কাজ করছে জানিয়ে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় দুর্নীতি আমাদের সব অগ্রযাত্রাকে উঁইপোকার মতো খেয়ে ফেলেছে। সে সময়ে প্রত্যেক প্রকল্পেই দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আসছে। আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তারা যেন দুর্নীতি না করেন সেই প্রত্যাশা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি স্বৈরাচার সমাজব্যবস্থার ভিতরে আমরা একটি সংবেদনশীল, যত্নশীল পলিসি প্রত্যাশা করতে পারি না’। তিনি বলেন, ‘যে দেশে আইন করে যৌতুক বন্ধ করা যায়নি, বাল্যবিয়ে বন্ধ করা যায়নি, সে দেশে শুধু আইন দিয়ে শিশুশ্রম বন্ধ করা কঠিন’।