স্টার্টআপ খাতে অর্থায়ন সহজ ও কার্যকর করতে নতুন নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল স্টার্টআপ অর্থায়ন নীতিমালা যুগোপযোগী করে একটি সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনী ব্যবসা পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন নীতিমালায় স্টার্টআপদের জন্য ঋণসীমা ২ কোটি থেকে ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ ঋণের পরিমাণ নির্ধারিত হবে স্টার্টআপের কার্যক্রমের স্তর (অপারেশনাল স্টেজ) অনুসারে। পুরোনো নীতিমালায় এ ঋণসীমা ছিল মাত্র ১ কোটি টাকা। নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে একটি নতুন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠিত হবে, যার মাধ্যমে স্টার্টআপদের ইকুইটি ভিত্তিক বিনিয়োগ করা হবে। প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক তাদের নিজস্ব ‘স্টার্টআপ ফান্ড’ থেকে এ কোম্পানিতে ইকুইটি বিনিয়োগ করবে। এ বিনিয়োগ ব্যাংকের আর্থিক বিবরণীতে ইকুইটি হিসেবে দেখানো হবে।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, ২১ বছর বা তদূর্ধ্ব যে কেউ এ অর্থায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কোনো স্টার্টআপ ১২ বছরের বেশি সময় ধরে নিবন্ধিত হলে তা এ সুবিধার আওতায় পড়বে না।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ/বিনিয়োগ প্রদান করতে পারবে। গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ হারে সুদ/লাভ প্রযোজ্য হবে, যা ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধি হারে হিসাব করা হবে।
তফসিলি ব্যাংকগুলোর স্টার্টআপ ফান্ড থেকে এখন শুধু ইকুইটি ভিত্তিক বিনিয়োগ করা যাবে। নতুন কোনো ঋণ বা বিনিয়োগ এ ফান্ড থেকে করা যাবে না। তবে আগেই অনুমোদিত ঋণ বা বিনিয়োগ বিতরণ করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার ‘স্টার্টআপ ফান্ড’ থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো রিফাইন্যান্সিং সুবিধা পাবে, যা স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়োগের বিপরীতে বরাদ্দ হবে।