শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এদেশে অনেক মালিক আছে যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। পালিয়ে মাসের পর মাস বিদেশে থাকে। তারা এই ফ্যাক্টরি দেখিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে চলে গেছে। শ্রমিকদের কথা চিন্তাও করে নাই। এখন সেটা আমাদেরকে দেখতে হচ্ছে। একটা ব্যাংক থেকে যদি ৩৭ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গিয়ে থাকে তাহলে সেই কারখানা চলবে কীভাবে? তাদের (পালিয়ে থাকা মালিক) বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি কারার জন্য আমি আবেদন জানিয়েছি। গতকাল জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে সাভারে এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শ্রমিক সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আরও বলেন, যাকেই ধরি, যে ব্যাংককেই ধরি মিনিমাম ১ হাজার কোটি টাকা টাকার নিচে কারও দেনা নাই। ইতোমধ্যে আমি কয়েকজনকে পুলিশের কাছে পাঠিয়েছি। তাদের অনেকের বাড়িঘর পর্যন্ত আমি নিয়ে এসেছি। তাদের জায়গা-জমি বিক্রি করার মতো অবস্থা হচ্ছে। এটা তো বাংলাদেশে কখনো হয়নি। যেসব ব্যাংকার টাকা দিতে চাচ্ছেন তাদের জায়গা-জমি বিক্রি করে আমরা চেষ্টা করছি ব্যাংকের জোগান দিতে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গার্মেন্ট শিল্পে বর্তমানে যারা বেকার হয়েছে তারা এমনি এমনি বেকার হয়নি, তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আগে কাউকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি, সবাই মালিকের পক্ষে কাজ করেছে। কিন্তু আমি মালিকের পক্ষেও কাজ করতে চাই, শ্রমিকের পক্ষেও কাজ করতে চাই এবং শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মিলে কাজ করতে চাই। আমরা চেষ্টা করছি তারা যাতে কোনোভাবেই বেকার না হয়। এজন্য যেসব কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলোকে পরিচালনা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যেমন ধরেন বেক্সিমকো। বেক্সিমকোকে পরিচালনা করার জন্য বিদেশি কিছু সংস্থা এখন বাংলাদেশে আছে। তারা হয়তো আলোচনা করে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যদি অবস্থা অনুকূলে থাকে তাহলে হয়তো তারা কারখানাটি পরিচালনা করবে।