অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তি পরিচিতি থাকায় মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশ বিশেষ সুবিধা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গতকাল রাজধানীতে মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ রিসার্চ এনালাইসিস অ্যান্ড ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (ব্রেইন) গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
প্রেস সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক ট্যারিফ আলোচনায় শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য। যুক্তরাষ্ট্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তি পরিচিতি থাকায় এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশেষ সুবিধা পেয়েছে। শুল্ক আরও কমানোর চেষ্টা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামনে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। সেখানে রপ্তানি বাড়বে। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।
শফিকুল আলম বলেন, অনেকে বলেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার দুর্বল, অভিজ্ঞতা নেই, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভালো চুক্তি আদায় করতে পারবে না। কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি- সঠিক প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস থাকলে অন্তর্বর্তী সরকারও বড় সাফল্য অর্জন করতে পারে।
প্রথমে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে গত ৩১ জুলাই সেই শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনে ট্রাম্প প্রশাসন।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এ পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে এবং অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরছে। তিনি উল্লেখ করেন, আমরা হয়তো ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করিনি, কিন্তু গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী এ সময়ে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি খারাপ কিছু নয়।