পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদানে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভ্রান্ত পরিবেশ ছাড়পত্র কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বন্যা প্রবাহ এলাকা বা পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল স্থানে বর্জ্য ফেলার কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া অবৈধ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। রাজনৈতিক চাপ থাকলেও আপত্তি জানাতে হবে। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে বদলি হয়ে যান কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে আপস করবেন না। গতকাল গাজীপুরের শ্রীপুরে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘স্ট্রেন্দেনিং এনভায়রনমেন্টাল রেগুলেটারি অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট ক্যাপাসিটি ফর এ সাসটেইনেবল বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসম, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, বেস্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও আইন প্রয়োগে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। সবচেয়ে দূষণকারী শিল্পগুলোকে চিহ্নিত করে বাজেট ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। দূষণকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনতে হবে। প্রধান দূষণ উৎসকে অগ্রাধিকার দিয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিবেশ ছাড়পত্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সব লাল ক্যাটাগরির শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (ইআইএ) প্রতিবেদন পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং জনগণের মতামত বিবেচনা করার আহ্বান জানান তিনি।
