বাংলাদেশে মোট বিদেশি বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে আর বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি বিনিয়োগে চীন সবার ওপরে। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে চীন সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করে। জ্বালানি খাতে চীনের বিনিয়োগ নিয়ে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘সাসটেইনেবল গভর্ন্যান্স অব চায়নাস এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বাথ যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের ল্য নিয়েছে। এতে চীনের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, সৌর ও বায়ুশক্তিতে যে অগ্রগতি করেছে চীন, তা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। চীনের কাছ থেকে শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, পরিবেশ পুনরুদ্ধারে প্রযুক্তিগত সহায়তাও প্রত্যাশা করেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
কর্মশালায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট আর উৎপাদন সমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াট।
গত সরকারের সময় ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত সমতা তৈরির সিদ্ধান্ত যথাযথ ছিল না। এখন সময় নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য সায়েমা হক বিদিশা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে গবেষণার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ বদরুল হাসান। বিশ্বে জ্বালানি রূপান্তর খাতে চীনের বিনিয়োগ নিয়ে একটি নিবন্ধ তুলে ধরেন ইউনিভার্সিটি অব বাথ-এর সহযোগী অধ্যাপক জিয়ান সান। এই কর্মশালায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মোট চারটি অধিবেশনে জ্বালানি ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।